করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি রোধে রজাবাড়ীতে শুরু হয়েছে সরকারঘোষিত লকডাউন। তবে চলছে ঢিলেঢালাভাবে।
Advertisement
মঙ্গলবার (২২ জুন) সকাল থেকেই শহরের সড়কগুলোতে ইজিবাইক, রিকশা, মোটরসাইকেল, মাহেন্দ্রা, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, নসিমন চলাচল করতে দেখা গেছে। তবে বন্ধ বয়েছে দূরপাল্লার বাস।
শহরের বিভিন্ন স্থানে খোলা রয়েছে মিষ্টি ও খাবার হোটেল, চা ও মুদি দোকানসহ বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। করোনা সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিতে রাজবাড়ী থাকলেও সাধারণ জনগণ ঘুরে বেড়াচ্ছেন স্বাভাবিকভাবেই। অনেক বের হয়েছেন দৈনন্দি কাজে। অনেকের মুখে দেখা যায়নি মাস্ক।
এদিকে সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত লকডাউন বাস্তবায়নে জেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে দেখা যায়নি প্রশাসনের তেমন কোন তৎপরতা।
Advertisement
হেলাল উদ্দিন নামে এক ইজিবাইক চালক বলেন, ‘পেটের দায়ে সংসার চালাতে বের হয়েছি। চলাচলে এখন পর্যন্ত কেউ বাঁধা দেয়নি। তবে ভয়ে ভয়ে চালাচ্ছি।’
নাফিজ নামে এক রাজমিস্ত্রির সহযোগী বলেন, ‘আমাদের কাজ চালু রয়েছে, না গেলে আমারই ক্ষতি। এছাড়া কিস্তি, সংসারের খরচ যোগাড় করতে হবে। একদিন না কাজ করলে সংসার চলবে না। তাই বাধ্য হয়েই কাজে বের হয়েছি।’
জরুরি কাজে ফরিদপুরে যেতে বড়পুলে এসেছেন নয়ন মিয়া নামের এক যুবক। কিন্তু বাস বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন। তিনি বলেন, ‘মাহেন্দ্রা ও অটোরিকশা চলছে। কিন্তু ভাড়া অনেক বেশি। এছাড়া ঝুঁকিও রয়েছে।’
উল্লেখ্য, করোনা সংক্রমণের হার বেড়ে যাওয়ায় ২২ জুন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত রাজবাড়ী, মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, গাজীপুর, মাদারীপুর ও গোপালগঞ্জে লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার।
Advertisement
গত ২৪ ঘণ্টায় রাজবাড়ীতে ৭০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২১ জনের শরীরে করোনার উপস্থিতি পাওয়া গেছে।
রুবেলুর রহমান/এসজে/জেআইএম