ইরাকের উত্তরাঞ্চলীয় শহর মসুলের কাছে মোতায়েন তুর্কি বাহিনীকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহার করা না হলে জাতিসংঘে যাওয়া হবে বলে হুমকি দিয়েছে ইরাক। বাগদাদ বলছে, কোনো আলোচনা ছাড়া ইরাকে সেনা মোতায়েনের এ ধরনের পদক্ষেপ জাতীয় সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন। খবর বিবিসির।তুর্কি প্রধানমন্ত্রী আহমেত দাভুতোগলু এ পদক্ষেপের বিষয়ে বলেন, একটি শিবির প্রতিষ্ঠার আগে সেখানে সেনাবাহিনীর নিয়মিত যাতায়াতের অংশ এটি। গত বছর থেকে ইরাকের এই শহরটি মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আইএসের বিরুদ্ধে লড়তে ইরাকের কুর্দি যোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ দিতে শতাধিক তুর্কি সেনা মোতায়েন করেছে তুরস্ক।ইরাকের প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল আবাদি এক বিবৃতিতে বলেছেন, ইরাকের সব ধরনের পদক্ষেপ ব্যবহারের অধিকার রয়েছে, যদি এসব তুর্কি সেনাকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহার করে নেয়া না হয় তাহলে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে যাওয়া হবে। তবে তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী দাভুতোগলু ইরাকের প্রধানমন্ত্রীকে এক চিঠিতে আরো সেনা না পাঠানোর অঙ্গীকার করেন। কিন্তু সেখান থেকে সেনা প্রত্যাহারের ব্যাপারে রাজি হননি তিনি। এর আগে এক বিবৃতিতে মসুল শহরের কাছে মোতায়েন তুর্কি সেনা প্রত্যাহারের দাবি জানায় ইরাক।বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরাকের স্বায়ত্তশাসিত কুর্দি অঞ্চলের সঙ্গে তুরস্ক ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখলেও সীমান্ত এলাকার সিরীয় কুর্দি গোষ্ঠীগুলোকে শত্রু হিসেবে দেখে থাকে। আইএসের হাতে মসুল শহরের পতনকে ইরাকে এই জঙ্গিগোষ্ঠীটির উত্থানে মূল চাবিকাঠি হিসেবে দেখা হয়। কয়েকবার চেষ্টা চালালেও ইরাক সরকার এই শহরটির নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেতে ব্যর্থ হয়েছে।এসআইএস/পিআর
Advertisement