সাউদাম্পটনের এজবাস্টনে পেসাররা ঝড় তুলতে পারেন- এটা অনুমিতই ছিল। সেই ঝগড়টাই তুললেন নিউজিল্যান্ডের নতুন সেনসেশন, কাইল জেমিসন। আইপিএলে কেন তাকে নিয়ে কাড়াকাড়ি পড়ে গিয়েছিল, কেন ১৫ কোটি রুপিরও ওপর মূল্য উঠেছিল তার, সেটা বিরাট কোহলিদের বিরুদ্ধেই প্রমাণ করলেন জেমিসন।
Advertisement
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের মত গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে একাই ৫ উইকেট নিলেন জেমিসন। তার বোলিং তোপের মুখে মাত্র ২১৭ রানেই অলআউট হয়ে গেলো ভারত।
বৃষ্টি বিঘ্নিত হলেও দ্বিতীয় দিনটা বেশ ভালোই কাটিয়েছিল ভারত। তৃতীয় দিন সকালে ৩ উইকেটে ১৪৬ রান নিয়ে খেলতে নামার পর কিউই পেসারদের আগুনে বোলিংয়ের মুখে বলতে গেলে দিশেহারা হয়ে পড়ে বিরাট কোহলি অ্যান্ড কোং। লাঞ্চ বিরতিতে যাওয়ার আগেই ৭ উইকেট হারায় ভারতীয়রা। লাঞ্চ বিরতির কিছুক্ষণ পর হলো অলআউট।
প্রথম দিন পুরোটাই গিয়েছিল বৃষ্টির পেটে। দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই টস হয় এবং টস জিতে ভারতকেই ব্যাটিংয়ে পাঠায় নিউজিল্যান্ড। ব্যাট করতে নেমে শুরুতে রোহিত শর্মা এবং শুভমান গিল বেশ ভালোই ব্যাটিং শুরু করেছিলেন। কিন্তু ৬২ রানের মাথায় গিয়ে প্রথম উইকেপ পড়ে। এরপর ৮৮ রানের মাথায় পড়ে তিন উইকেট। ফিরে যান রোহিত শর্মা, শুভমান গিল এবং চেতেশ্বর পুজারা।
Advertisement
এরপর দিনের বাকি অংশ বেশ ভালোভাবেই কাটিয়ে দেন বিরাট কোহলি এবং আজিঙ্কা রাহানে। বৃষ্টির কারণে পুরো দিনের খেলা না হলেও সেই ৩ উইকেটে ১৪৬ রান নিয়েই দ্বিতীয় দিন শেষ করেছিল বিরাট কোহলিরা।
৪৪ রান নিয়ে কোহলি এবং ২৯ রান নিয়ে ব্যাট করছিলেন রাহানে। তৃতীয় দিন ব্যাট করতে নামার পর এই জুটি বেশিদূর যেতে পারেনি। বিরাট কোহলিকে দিয়েই উইকেট পতনের শুরু হয়।
১৪৯ রানের মাথায় কাইল জেমিসনের বলে এলবিডব্লিউর শিকার হন কোহলি। সেই ৪৪ রানেই আউট হয়ে যান তিনি। আজিঙ্কা রাহানে আউট হন ৪৯ রান করে।
রিশাভ পান্ত মাঠে নেমেই বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ফিরে আসেন সাজঘরে। মাত্র ৪ রান করেন তিনি। রবিচন্দ্রন অশ্বিন এবং রবীন্দ্র জাদেজা মিলে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু ২৩ রানের জুটি গড়ার পর ২২ রান করে ফিরে যান রবিচন্দ্রন অশ্বিন।
Advertisement
ইশান্ত শর্মা করেন ৪ রান। জসপ্রিত বুমরাহ ফিরে যান কোনো রান না করেই। শেষ উইকেট হিসেবে আউট হন রবীন্দ্র জাদেজা, ১৫ রানে। তিনি আউট হতেই শেষ হয়ে যায় ভারতের ইনিংস।
কাইল জেমিসন ২২ ওভার বল করে ১২টি মেডেন নেন। ৩১ রান নিয়ে নেন ৫টি উইকেট। নেইল ওয়াগনার এবং ট্রেন্ট বোল্ট নেন ২টি করে উইকেট এবং বাকি ১টি উইকেট নেন টিম সাউদি।
আইএইচএস/জেআইএম