দেশজুড়ে

জলাবদ্ধতা নিরসনে মেয়র নিজেই নেমেছেন পানিতে

ভারি বর্ষণে পাবনার বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। পৌরসভার ১৫টি ওয়ার্ডের বেশ কয়েকটি মহল্লায় দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা।

Advertisement

আর এই জলাবদ্ধতার কারণ খুঁজতে পৌর মেয়র শরীফ উদ্দিন প্রধান নিজেই পানিতে নেমে এলাকা ঘুরে ঘুরে দেখছেন। সেই সঙ্গে ড্রেনের নিষ্কাশন ব্যবস্থা সংস্কার কাজ তদারকি করছেন।

পাবনা পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের মাঠপাড়া, মহিষের ডিপো, আতাইকুলা রোড, বাংলা বিড়ি আলার গলি, বাংলা ক্লিনিকের গলিতে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়।

এছাড়া ৪ নং ওয়ার্ডের নিকিড়িপাড়া, জোড় বাংলা রোড, মোহনের আটার মিল, মিশন হাউজ গলিতে জলাবদ্ধতা হয়। ৩ নং ওয়ার্ডের কফিলউদ্দিন পাড়া, চারতলা রোড, দিলালপুর রোড, ১১ নং ওয়ার্ডের বাগানপাড়া, লেপু সিপাহী রোড, যুগিপাড়া এলাকায়ও দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। ১৩ নং ওয়ার্ডের মাঠপাড়া, ছাতিয়ানী ও চামড়ার গুদামসহ বেশ কিছু এলাকায় জলাবদ্ধতার কারণে জনদুর্ভোগ বেড়েছে।

Advertisement

শহরের দক্ষিণ আটুয়া এলাকার বাসিন্দা ইমন হোসেন বলেন, ড্রেন নির্মাণে ঠিকাদারদের ধীরগতির কাজ আর গাফিলতির কারণে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। ড্রেন দিয়ে পানি বের হওয়ার বদলে সেই পানি ঘরে ঢুকে পড়ছে। তিনি দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহণে পৌর কর্তৃপক্ষের প্রতি দাবি জানান।

শহরের বেলতলা রোডের প্রবীণ সাংবাদিক রণেশ মৈত্র বলেন, শুক্রবার রাত থেকে ঘুমাতে পারিনি। ঘরের মধ্যে বৃষ্টির পানি ঢুকেছে। পানি সেচে রাত কাটিয়েছি।

এদিকে জলাবদ্ধ এলাকাগুলো পরিদর্শন করছেন পাবনা পৌর মেয়র শরীফ উদ্দিন প্রধান। মেয়রের এমন উদ্যোগে পৌরবাসী অনেকেই তাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।

রোববার (২০ জুন) পৌর মেয়র বলেন, গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে অনেক এলাকায় পানি আটকে যাওয়ায় জনগণ সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। দীর্ঘদিনের এই সমস্যা একদিনেই সমাধান করা সম্ভব না। তারপরও কাজ শুরু করেছি। এ কাজে জনগণকেও সহায়তা করতে হবে ও সচেতন হতে হবে। ড্রেনেজ ব্যবস্থা ব্যাহত হয় এমন কোনো কিছু ড্রেনে না ফেলতেও অনুরোধ করেন পৌর মেয়র।

Advertisement

তিনি জানান, সমস্যা নিরসনের জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থা সংস্কার কাজ চলছে। দিনরাত কাজ চলছে। পৌরবাসী এর সুফল অচিরেই পাবেন।

এদিকে পাবনার ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ হেলাল উদ্দিন জানিয়েছেন, গত চার বছরের মধ্যে পাবনায় এমন ভারি বৃষ্টি হয়নি। বৃষ্টিতে শহরের বিভিন্ন এলাকায় রাস্তা ডুবে মানুষের বাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছে জনসাধারণ।

তিনি আরও জানান, শুক্রবার (১৮ জুন) সকাল ৯ টা থেকে শনিবার (১৯ জুন) বেলা ৩টা পর্যন্ত ১৯১ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়। আকাশ মেঘলা থাকার কারণে আরও দুই-তিনদিন বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।

আমিন ইসলাম/জেডএইচ/এমকেএইচ