আমের স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে সবারই কমবেশি জানা আছে। তবে জানেন কি, শুধু আম নয়; আমের খোসাতেও আছে নানা পুষ্টিগুণ। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, আমের খোসায় আছে পলিফেনল, ক্যারোটিনয়েডস, ডায়েটারি ফাইবার, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই এবং বিভিন্ন উপকারী উপাদানসমূহ।
Advertisement
টেস্ট-টিউব সমীক্ষায় দেখা গেছে, আমের খোসার রস, আমের রসের তুলনায় অধিক উপকারী। যাতে আছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টিক্যান্সার বৈশিষ্ট্য।
এ ছাড়াও এতে থাকা ভিটামিন সি, পলিফেনলস এবং ক্যারোটিনয়েডগুলো হৃদরোগ ও ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। আমের খোসায় আছে অত্যাধিক ফাইবার। যা হজম স্বাস্থ্য এবং ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
আমের খোসা অন্ত্রের কার্যক্ষমতা বাড়ায়। এ তো গেল আমের খোসার স্বাস্থ্যগুণের কথা। এবার জেনে নিন ত্বকের যত্নে আমের খোসা কীভাবে কাজ করে-
Advertisement
বলিরেখা দূর করে
জানেন কি, চেহারায় বলিরেখা পড়তে দেয় না আমের খোসায় থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। ফ্রি র্যাডিক্যালস, বায়ু দূষণ, স্ট্রেস মুখ কুঁচকে যাওয়ার প্রধান কারণ। আমের খোসার প্যাক ব্যবহার করলেই এসব সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে।
আমের খোসা ভালো করে ধুয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে ওই পেস্ট মুখে ব্যবহার করে ১৫ মিনিট রাখুন। এরপর ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহখানেক ব্যবহারের পর দেখবেন, ত্বকের জেল্লা কতখানি বেড়ে গেছে। সেইসঙ্গে বলিরেখা পড়া ত্বকও হবে টানটান।
ব্রণ দূর করুন
Advertisement
আমের খোসা মুখের ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে। ছেলে-মেয়েদের বয়ঃসন্ধিকালে মুখ, বুক বা পিঠে হওয়া ব্রণের সমস্যা সমাধানে আমের খোসার প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। জিনগত কারণে হওয়া ব্রণের সমস্যা আমের খোসা ব্যবহারের মাধ্যেমে সমাধান করা সম্ভব।
ত্বকের জেল্লা বাড়ায়
আমের খোসায় থাকা ভিটামিন সি ও ভিটামিন ই ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। এটি ব্যবহারের মাধ্যমে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে। তাই নিয়মিত আমের খোসা ফেসপ্যাক হিসেবে ব্যবহারের মাধ্যমে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা থেকে শিগগিরই মুক্তি পাবেন।
সূত্র: হেলথলাইন/হেলথ বেনিফিটস টাইমস
জেএমএস/এমএস