অলিম্পিকে অংশ নিতে জাপান পৌঁছানোর পর করোনাভাইরাস পরীক্ষায় পজিটিভ সনাক্ত হলেন উগান্ডা দলের এক সদস্য। যে কারণে তাকে বিমানবন্দর থেকে সেন্ট্রাল জাপানে যেতে দেয়া হয়নি। অলিম্পিকে অংশ নিতে যাওয়া খেলোয়াড়দের মধ্যে এটিই প্রথম করোনা শনাক্তের ঘটনা।
Advertisement
উগান্ডার মোট নয়জনের দল শনিবার রাতে টোকিওর নারিতা বিমানবন্দরে পৌঁছেছে। সেখানে একজন ছাড়া বাকি সবারই করোনা নেগেটিভ এসেছে। তাই বাকি ৮ জনকে বিশেষ ভাড়া করা বাসে করে অলিম্পিকের আয়োজক শহর ওসাকায় পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। যেখানে এখনও করোনা সংক্রমণ দেখা যায়নি।
জাপানের অর্থনীতি বিষয়ক দায়িত্বে থাকা মন্ত্রী ইয়াসুতোশি নিশিমুরা জানিয়েছেন, বিমানবন্দর বা সীমান্তে কী সমস্যা হলো তা খুঁটিয়ে দেখছে সরকার। কেননা উগান্ডা দলের সকল খেলোয়াড় অ্যাস্ট্রেজেনেকার ভ্যাকসিন নিয়েছেন এবং বিমানে ওঠার আগে করা পিসিআর টেস্টেও ছিলেন নেগেটিভ।
এখন বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর একজনের করোনা পজিটিভ হওয়ার বিষয়টি অবাক করেছে সবাইকেই। উগান্ডা দলে সেই সদস্যের নাম প্রকাশ করা হয়নি। তাকে এখন সরকারি ব্যবস্থাপনায় আইসোলেশনে থাকতে হবে।
Advertisement
এদিকে উগান্ডা দলের একজনের করোনা পজিটিভ হওয়ার খবরে আরও জোরদার হয়েছে টোকিও অলিম্পিক স্থগিত করার দাবি। বিরোধী দলীয় আইনপ্রণেতা লেজিসলেটর তার টুইটার একাউন্টে লিখেছেন, ‘এখন মাত্র নয়জন এসেছে। অলিম্পিকের জন্য ১ লাখ মানুষ আসবে। এটি আমাদের শিশুদের জন্য কেমন একটা অভিজ্ঞতা হবে তা নিয়ে কথা বলে সময় নষ্ট করারও সময় নেই।’
বর্তমানে অন্য কোনো দেশ থেকে জাপানে গেলে দুই সপ্তাহের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হয়। তবে অলিম্পিক দলগুলোর ক্ষেত্রেও এই একই নিয়ম নয়। এছাড়া আরও কয়েক মাস আগেই বিদেশি দর্শকের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আয়োজকরা। স্বাগতিক দেশের দর্শক প্রবেশের অনুমতি দেয়া হবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত আসবে সোমবার।
অলিম্পিকে অংশ নিতে জাপানে যাওয়া দ্বিতীয় দল উগান্ডা। তাদের আগে অস্ট্রেলিয়া নারী সফটবল দল পৌঁছে গেছে জাপানে। তবে অসিদের কেউই করোনা পজিটিভ ছিলেন না। কিন্তু উগান্ডার একজনের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবরটি রীতিমতো ধাক্কা হয়েই এলো আয়োজকদের জন্য।
এসএএস/এমএস
Advertisement