ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট হয়েছেন ৬০ বছর বয়সী রক্ষণশীল নেতা ইব্রাহিম রাইসি। চুড়ান্ত ফলাফল প্রকাশের পর দেশটির অষ্টম প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণার করা হয় রাইসির নাম। আগামী আগস্ট মাস থেকে তিনি বর্তমান প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির স্থলাভিষিক্ত হবেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর ভোটারদের ধন্যবাদ জানান রাইসি।
Advertisement
ইরানের উপ-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জামাল অর্ফ জানিয়েছেন, ২ কোটি ৮৬ লাখ মানুষ শুক্রবারের নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। প্রেস টিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৬২ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছেন রাইসি। তাকে ভোট দিয়েছেন ১ কোটি ৭৮ লাখ মানুষ।
ইরানের যেকোনো নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব পালন করে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। শুক্রবার দীর্ঘ ১৯ ঘণ্টা ধরে দেশের জনগণ তাদের পছন্দের প্রার্থী নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন। ভোটের ফলাফল অনুযায়ী, দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন রক্ষণশীল প্রার্থী মোহসেন রেজায়ি। তিনি পেয়েছেন ৩৩ লাখ ভোট।
অপরদিকে, সংস্কারপন্থী জোটের প্রার্থী নাসের হেম্মাতি পেয়েছেন ২৪ লাখ ভোট। নির্বাচনের অপর প্রার্থী আমির হোসেন কাজিজাদে হাশেমি পেয়েছেন প্রায় ১০ লাখ ভোট।
Advertisement
ভোটের পর থেকেই কট্টরপন্থী নেতা ইব্রাহিম রাইসির জয় অনেকটাই সুনিশ্চিত বলে ধারণা করা হচ্ছিল। টেলিভিশনে প্রচারিত ভাষণে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানিও সেই ইঙ্গিত দিয়েছেন। নাম উল্লেখ না করেই তিনি ‘জননির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে’ অভিনন্দন জানিয়েছেন।
নির্বাচনে রাইসির অন্যতম প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক প্রধান আব্দুল নাসে হেম্মতি। এক চিঠিতে তিনি সরাসরি রাইসিকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, আশা করি সুপ্রিম নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির অধীনে আপনার প্রশাসন ইরানকে গর্বিত করবে, জীবনমানের উন্নতি ঘটাবে এবং জাতির মঙ্গল ও কল্যাণ নিশ্চিত করবে।
বিচারপতি রাইসিকে নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রতিদ্বন্দ্বী অন্য প্রার্থীরাও। নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার আগ পর্যন্ত ইব্রাহিম রাইসি ২০১৯ সাল থেকে ইরানের বিচার বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
Advertisement