দলটির সঙ্গে ভাগ্যও কেন যেন অসহযোগিতা করছিল প্রথম থেকে। না হয় কেন সিলেট সুপার স্টারস প্রথম দুই ম্যাচে হারবে ১ রানের ব্যবধানে! তৃতীয় ম্যাচ হারবে মাত্র ৬ রানের ব্যবধানে। প্রথম দুটি ম্যাচে অন্তত ভাগ্য যদি সহায়তা করতো, তাহলে শুরু থেকে অন্যদলগুলোর সঙ্গে ভালোভাবে লড়াই চালিয়ে যেতে পারতো মুশফিকুর রহিমের দল। ৬ ম্যাচের মধ্যে মাত্র ১টিতে জয়, একের পর এক হারে বিপর্যস্ত যখন সিলেট, তখন দল নিয়ে চিন্তা করলো তারা এবং মুশফিকুর রহিমের সিদ্ধন্তেই নেতৃত্বে পরিবর্তণ আনলো সিলেট। শনিবার রাতেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়ে যায়। মুশফিকের কাছ থেকে নেতৃত্বভার তুলে দেয়া হয় পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক শহিদ আফ্রিদির হাতে। অবশেষে আফ্রিদির সঙ্গে ভাগ্যও ফিরেছে যেন সিলেটের। বরিশাল বুলসকে ৫৮ রানের লজ্জায় ডুবিয়ে তারা জয় তুলে নিল ৯ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে হাজির হলেন সিলেটের কোচ সরওয়ার ইমরান। তিনিই জানালেন মুশফিকের চাওয়াতেই অধিনায়ক পরিবর্তণ করে দায়িত্ব দেয়া হলো শহিদ আফ্রিদিকে। তবে, মুশফিক যখন নেতৃত্ব আফ্রিদিকে দিতে বলেন, তখন একই সঙ্গে জানিয়েছিলেন যে সব বিষয়ে তিনি সহযোগিতা করবেন অধিনায়ককে। তবে, কোচ সরওয়ার ইমরান জানান, আনুষ্ঠানিকভাবে কোচ আফ্রিদিই; কিন্তু মাঠে অধিনায়ক ছিলেন তিনজন। তার সঙ্গে সহযোগিতা করেছে মুশফিক এবং রবি বোপারা।বিষয়টার ব্যাখ্যা দিয়ে ইমরান বলেন, আফ্রিদিকে তো অধিনায়কত্ব দেয়া হয়েছে সে দল পরিচালনা করবে। স্থানীয় খেলোয়াড়দের ব্যাপারে তাকে সহযোগিতা করবে মুশফিক। আর রবি বোপারা সিনিয়র ক্রিকেটার। এর আগেও সে বিপিএলে খেলেছে, ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে খেলেছে। এখানে খেলার যেহেতু তার অনেক অভিজ্ঞতা সেটা কাজে লাগানোর জন্য তাকেও দায়িত্ব দেওয়া হয় আফ্রিদিকে সহযোগিতা করতে। আফ্রিদিও বোলিং চেঞ্জ থেকে শুরু করে সবকিছু তাদের সঙ্গে আলোচনা করে করেছে। মূলতঃ আমিই পরিকল্পনা দিয়েছি তিনজনই অধিনায়ক। মূল অধিনায়ক আফ্রিদি।’ আইএইচএস/এএইচ/আরআইপি
Advertisement