দেশজুড়ে

চুয়াডাঙ্গায় একদিনে সর্বোচ্চ করোনা শনাক্ত ৭৬ জনের

চুয়াডাঙ্গায় গত ২৪ ঘণ্টায় ১৯৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৭৬ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ডেউয়ে একদিনের সর্বোচ্চ রেকর্ড এটি।

Advertisement

শনিবার (১৯ জুন) সকালে চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. এ এস এম মারুফ হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে সদর উপজেলায় ৩৫ জন, দামুড়হুদায় ৩৫ জন, আলমডাঙ্গায় চারজন ও জীবননগরে দুজন রয়েছেন। এদিন সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছেন সাতজন। এদিকে চুয়াডাঙ্গায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ৭৮ জনে দাঁড়িয়েছে।

সিভিল সার্জন ডা. এ এস এম মারুফ হাসান জানান, শুক্রবার (১৮ জুন) রাতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গায় করোনা রোগী ছিলেন ৫০৮ জন। এদের মধ্যে হাসপাতালে রয়েছেন ৪৪ জন। আর রেফার্ড রয়েছেন চারজন। এছাড়া বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন আরও ৪৬০ জন।

Advertisement

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ১৭১ রোগীর মধ্যে হাসপাতালে ১৯ জন ও বাড়িতে রয়েছেন ১৫১ জন। রেফার্ড রয়েছেন একজন। আলমডাঙ্গায় ৪৮ রোগীর মধ্যে বাড়িতে রয়েছেন ৪১ জন ও হাসপাতালে ছয়জন। একজন রয়েছেন রেফার্ড।

এদিকে দামুড়হুদায় ২০২ রোগীর মধ্যে বাড়িতে রয়েছেন ১৮৪ জন ও হাসপাতালে ১৬ জন। রেফার্ড রয়েছেন দুজন। জীবননগরে ৮৭ রোগীর মধ্যে বাড়িতে রয়েছেন ৮৪ জন ও হাসপাতালে তিনজন।

চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য বিভাগ এ পর্যন্ত ১১ হাজার ৬৪৮ জনের নমুনা সংগ্রহ করেছে। এদের মধ্যে করোনা শনাক্ত হয়েছে মোট দুই হাজার ৫২৩ জনের। আর সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৯৩৮ জন।

অপরদিকে চুয়াডাঙ্গায় করোনা সংক্রমণ রোধে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভারত সীমান্তবর্তী দামুড়হুদা উপজেলায় বিশেষ লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। ১৪ দিনের লকডানের গতকাল ছিলো চতুর্থ দিন।

Advertisement

এছাড়া জীবননগরেও বিশেষ বিধিনিষেধ আরোপ করেছে প্রশাসন। সন্ধ্যার সাড়ে ৭টার পরপরই দোকানপাট বন্ধসহ জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হতে নিষেধ হয়েছে।

জানা যায়, গত কিছুদিন ধরে চুয়াডাঙ্গায় সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। শুধু শহর ও শহরতলীতেই নয়, প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলেও সংক্রমিত হচ্ছেন মানুষ। অনেকে সর্দি-কাশি-জ্বরে আক্রান্ত হয়েও করোনা পরীক্ষায় আগ্রহী হচ্ছেন না। অসুস্থতার মাত্রা বেড়ে যখন শ্বাসকষ্ট তীব্রতর হচ্ছে তখন স্বজনরা স্বাস্থ্যবিধি না মেনে তড়িঘড়ি করে হাসপাতালে নিচ্ছেন। এ ধরনের রোগীর মৃত্যু হচ্ছে বেশি।

চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. এ এস এম মারুফ হাসান বলেন, ‘প্রশাসনের বেধে দেওয়া স্বাস্থ্যবিধি না মানলে জেলায় করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করবে। সবাইকে মাস্ক ব্যবহার ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।’

চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক (ডিসি) নজরুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘ভাইরাস থেকে নিজেকে রক্ষা করতে ও সংক্রমণ রোধে সবাইকে দায়িত্বশীল হতে হবে।’

সালাউদ্দীন কাজল/এসএমএম/এমএস