অধ্যাপক ডা. কে সি গাঙ্গুলী
Advertisement
করোনা মহামারির প্রথম ঢেউ থেকেই বিশ্বের জনজীবনকে অনেকটা স্থবির করে দিয়েছে। অজানা নতুন রোগ হিসেবে অনেক ভুল-ভ্রান্তি সত্ত্বেও উন্নত বিশ্বের তুলনায় কম প্রাণহানির পর ২০২০ সালে শেষে বাংলাদেশে করোনার প্রকোপ কমতে থাকে। ফলে সবাই ভাবতে থাকে, করোনা শেষ হয়ে গেল। এরপর বিজ্ঞানীদের অক্লান্ত চেষ্টায় নতুন বছরের শুরুতেই ভ্যাকসিন আবিষ্কৃত হয় এবং তার সফল প্রয়োগও চলছে।
তবে ২০২১ এর মার্চে করোনা আবার বাড়তে শুরু করে দ্বিতীয় ঢেউ হিসেবে। বর্তমানে বেশ প্রবলভাবেই এটি ভারত, বাংলাদেশে বিদ্যমান। দেড় বছরের পুরোনো ভাইরাসটিও টিকে থাকার তাগিদে এরই মধ্যে রূপ পরিবর্তন করে বেশ কয়েকটি ‘ভ্যারিয়েন্ট’ এর জন্ম দিয়েছে, যাতে সহজে তাকে নির্মূল করা না যায়।
ভারত-বাংলাদেশের বর্তমান সংক্রমণ প্রাবল্যের কারণ ‘ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট’ যেটি ভারতেই প্রথম ধরা পড়ে। তবে এখন বিশ্বের অনেক দেশেই ছড়িয়ে পড়েছে। বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে এই ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের কারণেই বর্তমান করোনার উর্ধ্বগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
Advertisement
এই দ্বিতীয় ঢেউ শেষ হলেও পরবর্তীতে যে তৃতীয় ঢেউ আসবে না, তার নিশ্চয়তা নেই। বরং যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে ব্যর্থ হলে চতুর্থ, পঞ্চম ইত্যাদি ঢেউ আসতেই থাকবে এটাই স্বাভাবিক। যতক্ষণ না ‘গোষ্ঠীগত রোগ প্রতিরোধ’ অর্জিত হয়।
অন্যদিকে করোনা মহামারির দ্বিতীয় বর্ষে ভ্যাকসিনের সাফল্যে উন্নত বিশ্বের অনেক দেশেই এর প্রাদূর্ভাব ও মৃত্যুহার অনেকটাই কমে গেছে। তারমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইসরায়েল এবং ইউরোপের অনেকাংশ, চীন, দক্ষিণ কোরিয়ার সাফল্য উল্লেখযোগ্য। এসব দেশে এখন করোনার প্রকোপ খুবই কম এবং মৃত্যুহার তাদের দেশের সর্বনিম্ন।
এটি এখন প্রমাণিত যে, করোনা থেকে মুক্তির একমাত্র উপায় ভ্যাকসিন বা করোনার টিকা। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে করোনার সংক্রমণ হার কমিয়ে রাখার জন্য। তবে সমাজ, দেশ তথা বিশ্ব থেকে রোগটি নির্মূল করতে হলে ভ্যাকসিনের কোনো বিকল্প নাই। আর সারা বিশ্ব থেকে নির্মূল না করা পর্যন্ত সারা বিশ্বে ভ্রমণ, ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা, অর্থনৈতিক কার্যক্রম ইত্যাদি সাবলীলভাবে চলতে পারবে না।
তাই পৃথিবীর ৭০-৮০ ভাগ মানুষকে যত দ্রুত ভ্যাক্সিনেশন এর আওতায় আনা যায় ততই মঙ্গল। আর তাই একজন ব্যক্তি বিশেষকে বুঝতে হবে তার নিজের, পরিবারের, দেশের তথা বিশ্বের কল্যাণের জন্যই তাকে ভ্যাকসিন বা টিকা নিতে হবে। এর মাঝে কোন দ্বিমত থাকা উচিত নয়।
Advertisement
ভ্যাকসিন করোনা নির্মূলে সহজ সমাধান দিচ্ছে। তবে বিশ্বের প্রায় ৮০০ কোটি মানুষের জন্য সেই ভ্যাকসিনের সংস্হান করাটা মোটেই সহজ কাজ নয়। আবার বেশিরভাগ ভ্যাকসিনই দুটি করে ডোজ প্রয়োজন হয় কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে। ফলে বিশ্বের কাছে বর্তমানে সব মানুষের জন্য ভ্যাকসিনের সংস্থান করাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
একদিকে ভ্যাকসিনের অপ্রতুলতা, অন্যদিকে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে পড়েছে। বাংলাদেশে প্রায় ৪৪ লাখ মানুষকে দুই ডোজ এবং প্রায় ১৪ লাখ মানুষকে এক ডোজ করে ‘কোভিসিল্ড’ টিকা দেওয়া হয়েছে। যেটি অক্সফোর্ডের অনুমোদিত ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটে তৈরিকৃত।
আপাতত ওই টিকা আমাদের হাতে নেই। আমরা বিভিন্নভাবে যে টিকা পেতে পারি তা হচ্ছে- সিনোভ্যাক, স্পুটনিক, অ্যাস্ট্রা জেনেকা, ফাইজার, জ্যানস্যান, মোডার্না ইত্যাদি থেকে। এদের কোনোটির চেয়ে কোনোটি অধিকতর কার্যকরী, আবার কোনোটিতে মারাত্মক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার শঙ্কা আছে। কোনোটি আবার নানা ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে কার্যকরী ইত্যাদি নিয়ে সচেতন মহলে আলোচনা ও আশঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে।
যেমন-গবেষণার ফল বলছে কোভ্যাকসিনের (ভারত বায়োটেক) চেয়ে কোভিশিল্ড (সিরাম ইনস্টিটিউট) টিকায় শরীরে অধিক এন্টিবডি তৈরি হচ্ছে ইত্যাদি। ফলে এ বিষয়ে একটু স্বচ্ছ ধারণার প্রয়োজন দেখা দিচ্ছে। সবচেয়ে বড় কথা তাত্ত্বিকভাবে অধিকতর কার্যকরী কোনো টিকার সন্ধান পেলেও সেটি এখনই হাতে পাওয়া যাবে তার নিশ্চয়তা নেই।
অথচ এই মুহূর্তে বাংলাদেশের ৪৬টি জেলায় করোনার তীব্র সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে। এই মুহূর্তে আমাদের হাতে কিছু আছে এবং প্রতি মাসে ৫০ লাখের মতো টিকা পাওয়ার সম্ভাবনা আছে, চীনের সিনোভ্যাক থেকে। প্রশ্ন হলো- যে টিকা পাই সেটি নিব, না-কি নিব না? এর ফয়সালা হওয়া প্রয়োজন। আবার যারা এক ডোজ কোভিশিল্ড নিয়ে আরেক ডোজ পাচ্ছেন না; তারা অন্য টিকা পেলে নিবেন কি-না।
দেশের জনসংখ্যা ১৭ কোটি ধরে ৭০-৮০ ভাগ মানুষকে টিকার আওতায় আনতে হবে দ্রুত। তা না হলে আমাদের ‘গোষ্ঠীগত প্রতিরোধ’ গড়ে উঠবে না। আর উচ্চ সংক্রমণ থাকলে পর্যটন হবে না, শিক্ষালয় খুলবে না, বিদেশিরা আমাদের দেশে আসবে না। ফলে জীবনের জন্য যেমন প্রয়োজন, তেমনি অর্থনীতির জন্যও টিকা এখন ভীষণ প্রয়োজন।
টিকার দুই ডোজের মধ্যকার সময় যথাসম্ভব কমিয়ে আনতে হবে ভ্যারিয়েন্ট প্রতিরোধে (যুক্তরাজ্যের গবেষকদের মত)। এজন্য আমাদের ১২-১৩ কোটি টিকার সংস্থান করতে হবে যে করেই হোক। তবে যারা করোনা আক্রান্ত হয়ে সেরে উঠেছেন; তাদের শরীরে মোটামুটি ভালো মাত্রার প্রতিরোধ ব্যবস্থা যে গড়ে উঠেছে, এটা নিশ্চিত।
তাদেরকে এক ডোজ টিকা দিলেও দেখা যায় ভালো ইমিউনিটি তৈরি হয়। সংখ্যায় খুব কম, তবে তাদের কারও কারও দ্বিতীয় সংক্রমণ হলেও হতে পারে। ফলে সংক্রমণ হলো কতজনের সে সংখ্যাটিও জানা দরকার। যদিও এটি কঠিন কাজ তবে জরিপ করে এটি বের করা সম্ভব।
এভাবে ব্যাপকসংখ্যক মানুষকে টিকা দিতে পারলেই করোনা প্রথমত নিয়ন্ত্রণ ও পরে নির্মূল করা সম্ভব হবে। তাই ব্যক্তিগত ও জাতিগতভাবে আমাদের প্রত্যেককে টিকা নিতে হবে। আমেরিকা, যুক্তরাজ্যসহ অনেক জায়গায় এভাবে টিকা দিয়েই করোনা নিয়ন্ত্রণ করে স্বাভাবিক জীবন ফিরে আসতে শুরু করেছে। আমাদেরও এর বাইরে কোনো পথ খোলা নেই।
টিকা গ্রহণের ফলে শরীরে ভাইরাসের স্পাইক-প্রোটিন এর বিরুদ্ধে যে এন্টিবডি তৈরি হয়, তা দেহে করোনা ভাইরাস ঢুকলে তা শনাক্ত করে নিষ্ক্রিয় করে দেয়। যারা ইমিউনোসাপ্রেসড, বা অধিক বয়সের কারণ টিকার ফলে অ্যান্টিবডি তৈরির মাত্রা কম হয়; তাদের তৃতীয় আরও একটি বুস্টার ডোজ টিকা নেওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়। তাতে প্রতিরোধ খুবই শক্তিশালী হয়।
ফলে টিকা অব্যর্থ, ক্ষেত্রবিশেষে নিয়ম পরিবর্তন করতে হবে। তাই টিকা নিতে হবে সবাইকে। যুক্তরাজ্য ও স্পেনের গবেষণায় দেখা গেছে, প্রথম ডোজ অ্যাস্টাজেনেকা ও দ্বিতীয় ডোজ ফাইজার কিংবা উল্টোটা করেও শরীরে ভালো ইমিউনিটি তৈরি হয়েছে এবং কারও কোনো সমস্যাও হয়নি। এ পদ্ধতি বিজ্ঞানে আগেও স্বীকৃত ছিল। ফলে দুই ডোজে ভিন্ন ভিন্ন টিকা নিতে হলেও আপত্তি থাকা উচিত নয়। তবে পাওয়া গেলে একই টিকা নিতে পারেন।
করোনা প্রতিরোধে কোন টিকা নেব?
এক্ষেত্রে ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দকে প্রাধান্য দেওয়া যাবে না। যেটি পাওয়া যাবে; সেটিই নিতে হবে। কার্যকারিতার হার ৭০, ৮০, ৯০ ভাগ ইত্যাদি যা-ই দেখানো হোক না কেন; সেটি আসলে একেবারে সংক্রমণ না হওয়ার নিশ্চয়তা দেয়। অর্থাৎ ৭০, ৮০ বা ৯০ শতাংশ টিকা গ্রহিতার সংক্রমণই হবে না। তবে আমরা দেখি টিকা গ্রহিতার সংক্রমণ হলেও তা হালকা হবে; গুরুতর হবে না।
হাসপাতালে ভর্তি কিংবা আইসিইউ লাগবে না কিংবা মৃত্যুও হবে না। এই নিশ্চয়তা অনুমোদিত সব টিকাই শতভাগ দিচ্ছে। অ্যান্টিবডির মাত্রা এক্ষেত্রে কোনো বিষয় নয়। তাই ফাইজার, অক্সফোর্ড, সিনোভ্যাক, কোভিশিল্ড, মোডার্না, স্পুটনিক, জেনসেন ইত্যাদি টিকার যেটিই আপনি নিবেন; করোনাজনিত হাসপাতালে ভর্তি, আইসিইউ কিংবা মৃত্যু শতভাগ প্রতিরোধ করবে (ডোজ সম্পূর্ণ করার দুই সপ্তাহ পর থেকে)।
ইমিউনিটি হয়েছে কি-না বুঝবেন কীভাবে?
একজন ব্যক্তি টিকা নেওয়া (সম্পূর্ণ ডোজ) দুই সপ্তাহ পর; তার দেহে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে কি-না বা হলেও কতটা হয়েছে ইত্যাদি দেখে বুঝতে পারবেন ইমিউনিটি হয়েছে কি-না। এটি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি হলেও এর ত্রুটি আছে। কারণ অ্যান্টিবডি লেভেল আর ইমিউনিটি সমানুপাতিক নয়। শুধু অ্যান্টিবডির মাত্রাই টিকার কার্যকারিতা বা ইমিউনিটির প্রমাণ দেয় না।
সংক্রমণ কিংবা টিকা গ্রহণের পরেও অনেকের শরীরে অ্যান্টিবডি পাওয়া যায় না কিংবা খুব কম পাওয়া যায়। তবে তাদের ইমিউনিটি ঠিকই আছে। ইমিউনিটি হলে সামান্য হলেও অ্যান্টিবডি তৈরি হবে তা যেমন ঠিক আবার সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা কমতে পারে, তাই বলে ইমউনিটি চলে যায় না। আবার অ্যান্টিবডি নিউট্রালাইজিং এবং নন-নিউট্রালাইজিং আছে।
অতি অল্প মাত্রার এন্টিবডিও কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে সুরক্ষা দিতে পারে। ইমিউনিটির একটা নির্দেশক হচ্ছে অ্যান্টিবডি, অন্যগুলো হলো দেহের ইমিউন সেলগুলো মেমরি টি- সেলস এবং মেমরি বি- সেলস। সংক্রমণ কিংবা টিকা প্রয়োগ উভয় ক্ষেত্রেই টি ও বি- সেল সংবেদিত বা প্রাইমড হয়ে থাকে। ফলে দ্বিতীয়বার সংক্রমণ হওয়ার উপক্রম হলে; দ্রুত তারা অ্যান্টিবডি তৈরি করে প্রতিরোধ গড়ে তোলে।
ফলে সংক্রমণ হতে পারে না অথবা হালকা ধরনের সংক্রমণ হয়। গুরুতর বা মারাত্মক সংক্রমণ হয় না। সমস্যা হচ্ছে টি ও বি লিম্ফোসাইট পরীক্ষা করে ইমিউনিটি তৈরি হলো কি-না তা নির্ণয় করা সাধারণ কোনো ল্যাবে হয় না। গবেষণাগার কিংবা উন্নত কোনো ল্যাবে পরীক্ষা করার সুযোগ থাকলেও বিরাট সংখ্যক মানুষের রক্তের এই পরীক্ষা করে দেখা সম্ভব হয় না। তাই সহজ পরীক্ষা হিসাবে অ্যান্টিবডি টেস্ট করেই দেখা হয় এবং মতামত দেওয়া হয়।
ভ্যারিয়েন্টসের বিরুদ্ধে টিকা কতটা কার্যকরী?
টিকা তৈরি এবং ট্রায়াল দেওয়ার সময় করোনার আদি স্ট্রেইনটিই ছিল। ফলে ট্রায়ালে দেখা হয়েছে ওই স্ট্রেইনের উপর টিকার কার্যকারিতা। এর মধ্যে করোনা ভাইরাসের বেশ কয়েকটি ভ্যারিয়েন্ট বের হয়েছে, যাদের নামকরণ করা হয়েছে আলফা (ইউ কে তে উদ্ভূত), বিটা (দক্ষিণ আফ্রিকায় উদ্ভূত), গামা (ব্রাজিলে উদ্ভূত), ডেল্টা (ভারতে উদ্ভূত)- ইত্যাদি।
সংক্রমণ বাড়লে আরও নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্ট বের হতে পারে। এখন অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন প্রচলিত টিকা এসব ভ্যারিয়েন্ট এর বিরুদ্ধে সুরক্ষা দিতে সক্ষম কি-না। এ যাবৎ যতগুলো ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে তার সবগুলোর বিরুদ্ধে প্রতিটি ভ্যাকসিন কতটা কার্যকরী তা পরীক্ষা করে দেখা হয়নি।
তবে চলমান টিকা কার্যক্রমের ফলাফল পর্যালোচনা করে দেখা যায়, জেনসেন টিকা করোনাভাইরাসটির মূল ধরনসহ দক্ষিণ আফ্রিকা (বিটা ভ্যারিয়ান্ট) ও ব্রাজিলের ধরন ( গামা ভ্যারিয়ান্ট) উপর কার্যকর। আবার ফাইজারের টিকা মূলধরনের সাথে ইউ কে (আলফা ভ্যারিয়ান্ট), সাউথ আফ্রিকা ( বিটা ভ্যারিয়ান্ট), ভারতীয় (ডেল্টা ভ্যারিয়ান্ট) এর উপর কাজে দিয়েছে।
যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য মন্ত্রী জানিয়েছেন, যারা করোনা টিকার দু’টি ডোজ নিয়েছেন (সেখানে প্রধানত অক্সফোর্ডের টিকা দেয়া হয়েছে) তারা করোনার আগের ধরনগুলোর মতো ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট থেকেও একই রকমের সুরক্ষা পাচ্ছেন। আসলে ভ্যাকসিন নিউট্রালাইজিং এন্টিবডির পাশাপাশি নন- নিউট্রালাইজিং এন্টিবডি ও তৈরি করে এবং টি- সেলস অ্যাক্টিভেশন এবং ইমিউন রেসপন্স সৃষ্টি করে।
গবেষকদের মতে, করোনায় আক্রান্ত বহুসংখ্যক মানুষকে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার মতো অবস্থা থেকে যেকোনো টিকাই রক্ষা করেছে। ফলে ভ্যারিয়েন্ট যা-ই হোক ব্যক্তি, সমাজ, দেশ তথা সারা বিশ্বকে করোনামুক্ত করতে হলে টিকা নিতেই হবে। যে টিকা পাওয়া যায়; সেটিই গ্রহণ করতে হবে।
সিডিসি ২ ডোজ টিকা প্রাপ্ত মার্কিন নাগরিকদেরকে আমেরিকার মধ্যে স্বাভাবিক চলাচলের অনুমতি দিয়েছে। আমরাও পর্যাপ্ত টিকা নিয়ে ‘গোস্ঠীগত প্রতিরোধ’ গড়ে তুলে সুন্দর স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারবো এই আশাবাদ সবার আস্থায় আসুক। আমাদের দেশ ও বিশ্ব থেকে করোনা নির্মূল হোক।
লেখক: অধ্যাপক, রেসপিরেটরি মেডিসিন, সিনিয়র কনসালট্যান্ট, হেড অব মেডিসিন অ্যান্ড চেস্ট ডিজিজ, ইমপালস হাসপাতাল, ঢাকা।
জেএমএস/এসইউ/এমএস