দেশজুড়ে

টানা বৃষ্টিতে ভোগান্তি খুলনা নগরবাসীর

আষাঢ়ের টানা বৃষ্টিতে খুলনায় ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে জলাবদ্ধতা। চলমান বর্ষণে প্রতিদিনই পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে নগরীর ব্যস্ততম সড়ক ও নিম্নাঞ্চল। খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ধীরগতির সংস্কার কাজ এবং বিদ্যমান ড্রেনগুলো পরিষ্কার না করার ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই তলিয়ে যাচ্ছে সড়কগুলো।

Advertisement

গত দুই দিনের টানা বৃষ্টিতে নগরীর অনেক এলাকা পানির নিচে তলিয়ে গেছে। জলজটের কারণে চরম দুর্ভোগের মধ্যে রয়েছেন নগরীর হাজার হাজার মানুষ।

ভারী বৃষ্টিতে নগরীর মুজগুন্নী বাস্তুহারা, সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকার প্রথম ফেজ, গোবরচাকা, নবীনগর, শামসুর রহমান রোড, কেডিএ এভিনিউ এলাকার অধিকাংশ ভবনের নিচতলায় পানি প্রবেশ করেছে।

ড্রেনের পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় মহানগরীর শান্তিধাম মোড়, রয়্যালের মোড়, পূর্ব বানিয়াখামার, পিটিআই, নিরালা, দোলখোলা, বাগমারা, মিস্ত্রিপাড়া, বাইতিপাড়া, খানজাহান আলী রোড, রূপসা স্ট্যান্ড রোড, টুটপাড়া মেইন রোড, হাজী মহসীন রোড, আহসান আহমেদ রোড, খালিশপুর, দৌলতপুরসহ বিভিন্ন এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে।

Advertisement

মহানগরীর পিটিআই মোড় এলাকার বাসিন্দা বেল্লাল হোসেন বিপ্লব, হাজী মহসীন রোডের বাসিন্দা ইকবাল হোসেন, সাইদুর রহমান বলেন, খুলনা সিটি করপোরেশন গত একবছর ধরে ড্রেনের কাজ করছে। বলতে গেলে পুরো বছর কাঁদাপানিতে ভোগান্তিতে কাটাতে হয়েছে। এখন বৃষ্টিতে সেই ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে। নগরীর টুটপাড়া এলাকার মাহমুদুল হাসান বাদল ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বছরধরে কাজ করায় নগরীর অধিকাংশ ড্রেন বন্ধ রয়েছে। যে ড্রেনে কাজ হচ্ছে না সেগুলো ময়লায় ভরাট হয়ে আছে। ড্রেন উপচে ময়লা পানি রাস্তায় চলে আসছে।

এদিকে খুলনা মহানগরীতে পানি নিষ্কাশনের খালগুলো ভরাট ও দখলদারিত্বের কবলে পড়ায় ভারী বৃষ্টি হলে জলাবদ্ধতা অনিবার্য হয়ে উঠেছে। যে কারণে বৃষ্টি হলেই পানিতে ডুবছে মহানগরী।

খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে। এতে নগরবাসীর ভোগান্তি স্থায়ীভাবে লাঘব হবে। দ্রুত সময়ে কাজ শেষ করার জন্য ঠিকাদার ও কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

খুলনা আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিনিয়র আবহাওয়াবিদ আমিরুল আজাদ বলেন, মৌসুমি বায়ু সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় থাকার প্রভাবে খুলনায় ভারি থেকে অতি-ভারি বর্ষণ হচ্ছে। যা আরও দুই তিনদিন অব্যাহত থাকতে পারে।

Advertisement

আলমগীর হান্নান/আরএইচ/এমএস