প্রেমে পড়লাম এক মেয়ের। তারপর তার সঙ্গে তার মা-বাবার সঙ্গে দেখা করতে গেলাম তাদের কন্যার পাণিপ্রার্থনা করতে। আমাকে ডিভানে বসিয়ে প্রশ্ন করা হলো, - তোমার পেশা কী?- সাহিত্যিক।- নাম কী তোমার?
Advertisement
তার প্রতিটি প্রশ্নে উত্তরে আমি ধীরে ধীরে নিজের নাম-পদবি জানালাম। কিন্তু এখানেই শেষ নয়। শেষটা আরও ভয়াবহ, আরও করুণ।
হঠাৎ ক্ষুব্ধ হয়ে উঠলেন আমার প্রেমিকার পিতা। তিনি বলতে লাগলেন, - তুমি! তুমি কীভাবে পারলে? কীভাবে পারলে আমাদের বাসার ত্রিসীমানা মাড়াতে? তুমি! তোমার অনেকগুলো বউ! অনেককে খোরপোশ দাও! তুমি তিন বার সংসার ভেঙেছো, ত্যাগ করেছো পাঁচ-পাঁচজন সন্তানকে! লম্পট! কোনো সুন্দরী মেয়ে রক্ষা পায় না তোমার কবল থেকে! মদ্যপ! তোমাকে প্রায়ই ধরে নিয়ে যায় মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে! তুমি কলহপ্রিয়! তুমি অন্যদের সম্পর্কে নানা জায়গায় বেনামে চিঠি লেখো। তুমি কালোবাজারি! দুষ্প্রাপ্য পণ্য তুমি চড়া মূল্যে বিক্রি করো। তুমি ভবঘুরে, বেকার! রাতে চিৎকার করে রদ্দিমার্কা গান গেয়ে বেড়াও! মামলাবাজ তুমি! মামলার প্যাঁচে ফেলে নিজের মাকে ঘরছাড়া করেছ! আর এই তুমি এসেছ আমার কন্যার পাণিপ্রার্থনা করতে?
যাবতীয় অভিযোগের ভারে বিষাদগ্রস্ত আমি নীরবে উঠে দাঁড়ালাম। বেরিয়ে এলাম তাদের ফ্ল্যাট থেকে। তারপর সিঁড়ি বেয়ে নামতে থাকলাম নিচে।
Advertisement
সব হারিয়ে গেল। আমার স্বপ্ন, প্রত্যাশা। ভেঙে গেল আমার সুখস্বপ্ন। তবে এর দায়ভার অন্য কারও নয়। এর জন্য সম্পূর্ণভাবে দায়ী আমি নিজেই। উত্তম পুরুষে ব্যঙ্গাত্মক গল্পগুলো লেখার কোনো প্রয়োজনই ছিল না।
লেখা: আলেকজান্ডার কানেভস্কিছবি: সংগৃহীত
প্রিয় পাঠক, আপনিও অংশ নিতে পারেন আমাদের এ আয়োজনে। আপনার মজার (রম্য) গল্পটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়। লেখা মনোনীত হলেই যেকোনো শুক্রবার প্রকাশিত হবে।
এসইউ/এমএস
Advertisement