ক্যাম্পাস

১০ দফা দাবিতে জবি শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য ব্যবস্থপনা বিভাগের ৯ম ব্যাচের শিক্ষার্থী মাশুক খান নিহতের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে ১০ দফা দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। রোবাবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সম্মেলন কক্ষে ১০ দফা দাবি সংক্রান্ত তাদের একটি আবেদনপত্র জবি ট্রেজারার সেলিম ভূঁইয়া প্রশাসনের পক্ষ থেকে গ্রহণ করেন। এর আগে সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক বন্ধ করে দেয় বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা। তখন তারা প্রক্টর নুর মোহ্ম্মদকে  দুপুর ১টা পর্যন্ত সময় বেঁধে দেন বক্তব্য প্রত্যাহারের জন্য।   এ বিষয়ে জবি প্রক্টর ড. নূর মোহাম্মদ বলেন, তিনি বলেছিলেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহা. আলী নূরের কাছ থেকে তথ্য যাচাই করার জন্য। তিনি সঠিক তথ্য জানতেন না। কিন্তু ওই প্রতিবেদক তথ্য যাচাই না করেই প্রকাশ করেছেন। এ বিষয়ে প্রথম আলো পত্রিকায় প্রতিবাদ লিপি দিয়েছেন বলে জানান তিনি।   এদিকে বিক্ষোভ শেষে দুপুর ২টার দিকে ১০ দফা দাবি নিয়ে একটি স্মারকলিপি জবি ভিসি বরাবর প্রদান করেন বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা। ভিসি অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান অনুপস্থিত থাকায় ভিসি সভা কক্ষে বিক্ষোভকারীদের নিয়ে আলোচনায় বসেন জবি ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. সেলিম ভূঁইয়া। আলোচনা সভায় শিক্ষার্থীরা ১০ দফা দাবি পেশ করেন। এসময় বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা বলেন, বাস থেকে পড়ে মিশুক খান অসুস্থ হওয়ার পর জবি প্রক্টর তার কোন খোঁজখবর নেননি। এছাড়া মাশুক হৃদরোগে মারা গেছেন বলে প্রথম আলো পত্রিকায় বিবৃতি দিয়েছেন। তার বক্তব্য প্রত্যাহার করে দুঃখপ্রকাশ করতে হবে। এছাড়া, শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় ভুয়া খবর প্রকাশ করার জন্য প্রথম আলো প্রতিনিধিকে অপসারণ করতে হবে। দাবিগুলো হলো, জবি প্রক্টরের মনগড়া বক্তব্য প্রত্যাহার করে দুঃখ প্রকাশ করতে হবে, প্রথম আলোর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিকে অপসারণ করতে হবে, পরিবহনের বাস সংখ্যা বাড়াতে হবে, নিহত মাশুকের স্মৃতি রক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে, বাসের রুট বৃদ্ধি করতে হবে, মাশুকের নামে নতুন বাস দিতে হবে, হিসাব বিজ্ঞান বিভাগে মাশুকের নামে সেমিনার করতে হবে, অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করতে হবে, বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্দিষ্ট হাসপাতালের ব্যবস্থা করতে হবে এবং মেডিকেল সেন্টারে পর্যাপ্ত ওষুধের ব্যবস্থা করতে হবে।এসময় জবি ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো: সেলিম ভূঁইয়া বলেন, প্রক্টরের এমন বক্তব্য দেয়া উচিত হয়নি। তার ক্ষমা চাওয়া উচিত। প্রক্টরের পক্ষ থেকে তিনি শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চান। তার বিরুদ্ধেও প্রথম আলো প্রতিনিধি একাধিক মিথ্যা খবর প্রকাশ করেছেন বলে জানান তিনি। এছাড়া, ভিসির সাথে আলোচনা করে শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণের আশ্বাস দেন ট্রেজারার। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন- জবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহা. আলী নূর, সহ-সভাপতি ড. মনিরুজ্জামান প্রমুখ।এসএইচএস/আরআইপি

Advertisement