জাতীয়

বৈঠকে জ্যামার ব্যবহার করে জেএমবি

শনিবার রাজধানীর উত্তরা থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) ৩ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের আসামিরা জানান, বৈঠকের গোপনীয়তা বজায় রাখতে এবং তথ্য উপাত্ত যেন ফাঁস না হয়ে যায় তাই মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যস্ত রাখার যন্ত্র- জ্যামার বসিয়ে বৈঠক করে তারা। রোববার বিকেলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিবির যুগ্ম কমিশনার মো. মনিরুল ইসলাম একথা জানান। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, এএইচএম খায়রুল আসাদ ওরফে সোহাগ, মীর মোয়াজ্জেম হোসেন সাইফী ওরফে জার্মিন ও মো. কফিল উদ্দিন বিন আমিন।  এদের মধ্যে আসাদ জেএমবির কারিগরি সহায়ক। তিনি একটি বেসরকারি মোবাইল অপারেটর কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন। তিনি জেএমবির শুরা সদস্যদের মিটিংয়ের সময় ওই জ্যামার ব্যবহার করতেন যাতে আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী তাদের শনাক্ত করতে ব্যর্থ হয়। মোয়াজ্জেম জেএমবির একজন শুরা সদস্য ছিলেন। তিনি বিভিন্ন সময় উগ্র ধর্মীয় মতামত সংক্রান্ত ভাষণের মাধ্যমে জেএমবির প্রতি তরুণদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করতেন। গ্রেফতারকৃত সোহাগ ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। তিনি কারাগারে থাকা জেএমবি প্রধান মাওলানা সাঈদুর রহমানের অনুসারী। আটকের সময় তাদের কাছ থেকে ১টি নেটওয়ার্ক জ্যামার ও বিপুল পরিমাণ উগ্রপন্থী মতামত সংক্রান্ত বই উদ্ধার করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে মনিরুল ইসলাম বলেন, আসামিরা মূলত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, পুলিশ ও পীর ফকিরদেরকে টার্গেট করেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সরকারকে সহযোগিতা করে থাকে বলেই তাদের টার্গেট করে জেএমবি।পুলিশের মুখপাত্র আরো জানান, জেএমবি সদস্যরা কোন না কোন পেশায় জড়িত রয়েছেন। তারা তাদের আয়ের একটি অংশ জঙ্গি কার্যক্রম ব্যয় করেন। আসামি সোহাগও তার আয়ের একটি অংশ জঙ্গি কার্যক্রমে ব্যয় করতেন বলে স্বীকার করেছেন। আসামিরা নতুন যুবকদের জঙ্গি কার্যক্রমে উৎসাহী করতন। জেএমবির মাওলানারা ওয়াজ মাহফিলে ও ধর্মীয় শিক্ষার মাধ্যমে জঙ্গি কার্যক্রম প্রসারিত করার জন্য আহ্বান জানাতেন। এআর/এসএইচএস/আরআইপি

Advertisement