বুধবার (১৬ জুন) মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে র্যাপিট এন্টিজেন্ট টেস্টের মাধ্যমে ৩০ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৪ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। এর মধ্যে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চারজন নিরাপত্তা কর্মী রয়েছেন।
Advertisement
এর আগে রোববার মোংলা ইপিজেডে কর্মরত এক চীনা নারীর করোনা শনাক্তের পর মঙ্গলবার (১৫ জুন) পাঁচ আনসার সদস্যের করোনা শনাক্ত হয়। এর ফলে করোনা সংক্রমণ ঝুঁকিতে পড়েছে পুরো ইপিজেড ও বন্দরে কর্মরতরা।
বুধবার করোনায় আক্রান্ত বন্দরের নিরাপত্তা কর্মীরা হলেন- কামাল হোসেন, ইমান আলী, নাজমুল হোসেন, খবিয়ার রহমান। মঙ্গলবার (১৫ জুন) করোনায় আক্রান্ত ইপিজেডের নিরাপত্তা কর্মীরা হলেন- পরিতোষ, সোহেল রানা, মন্টু মন্ডল, অনুপ চন্দ্র সরকার ও সঞ্জয় মন্ডল। এর আগে গত রোববার ইপিজেডের জিনলাইট গার্মেন্টসের টেকনিশিয়ান জিংয়াও কিন জুয়ানের (৩৩) করোনা শনাক্ত হয়।
এ নিয়ে মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৫ ও ১৬ জুন ৫৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২৯ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হলো যা পরীক্ষা বিবেচনায় আক্রান্তের হার ৫৫ শতাংশ।
Advertisement
মোংলা ইপিজেডের মহাব্যবস্থাপক মো. মাহবুব আহমেদ সিদ্দিক বলেন, করোনা আক্রান্ত চায়না নারী টেকনিশিয়ান জিংয়াও কিন জুয়ান এখন সুস্থ আছেন। আর নতুন করে যে পাঁচজন আনসারের করোনা শনাক্ত হয়েছে তাদেরকে ইপিজেডের নির্দিষ্ট করোনা ইউনিটে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।
এদিকে মোংলায় চলমান করোনার কঠোর বিধিনিষেধ আরও এক সপ্তাহের জন্য বাড়ানো হয়েছে। এর আগে তিন দফায় দেয়া বিধিনিষেধের শেষ দিন ছিল আজ (বুধবার)। কিন্তু সংক্রমণ হার ঊর্ধ্বগতিতে থাকায় আবারও বিধিনিষেধ আরোপ করলো প্রশাসন।
বুধবার দুপুরে বাগেরহাট জেলা প্রশাসক মো. আজিজুর রহমান সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করে এই বিধিনিষেধ আরোপ করেন। এর আগে হঠাৎ করোনা পরিস্থিতি অবনতি হলে গত ৩০ মে থেকে তিন দফায় কঠোর বিধিনিষেধ জারি করে প্রশাসন।
মো. এরশাদ হোসেন রনি/এমআরআর
Advertisement