দীর্ঘ দুই বছরের পথ পাড়ি দিয়ে মঙ্গলবার শেষ হলো কাতার বিশ্বকাপ-২০২২ এর এশিয়ান অঞ্চলের বাছাই। এই বাছাই শেষে ১৩ দল উঠে গেছে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের চূড়ান্ত আর এশিয়ান কাপের চূড়ান্ত পর্বে, ২২ দল এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে এবং ৪ দল খেলবে বাছাইয়ের প্লে-অফ।
Advertisement
এবারের বাছাইয়ে দক্ষিণ এশিয়ার দল ছিল ভারত, বাংলাদেশ, মালদ্বীপ, নেপাল, শ্রীলঙ্কা। পাঁচটি দেশই এশিয়ান বাছাইয়ে সরাসরি খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে।
মাঠের পারফরম্যান্স কেমন ছিল দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর? দক্ষিণ এশিয়ার দলগুলোর মধ্যে দুটি করে জয় পেয়েছে মালদ্বীপ ও নেপাল। ভারতের একটি জয়। বাংলাদেশের দুটি ড্র। মজার বিষয় হলো, শ্রীলঙ্কা ৬ ম্যাচের সবকটি হেরে কোনো পয়েন্ট ছাড়াই উঠে গেছে এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বে।
বাছাইপর্বে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ ফলাফল শ্রীলঙ্কার। কোন পয়েন্ট না পাওয়া দেশটি গোল হজম করেছে ৬ ম্যাচে ২৩টি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২২ গোল হজম করেছে নেপাল। এরপর মালদ্বীপের গোল হজম ২০টি, বাংলাদেশ ১৯টি ও ভারত ৭টি। দক্ষিণ এশিয়ার ৫ দেশের জালে এবার গোল হয়েছে সবমিলিয়ে ৯১টি।
Advertisement
শ্রীলঙ্কার কপালই ভালো। বাছাইয়ের প্রথমপর্বে তাদের প্রতিপক্ষ ছিল ম্যাকাও। অ্যাওয়ে ম্যাচে লঙ্কানরা হেরেছিল ১-০ গোলে। কিন্তু নিরাপত্তার অজুহাতে ম্যাকাও ফিরতি ম্যাচ খেলতে শ্রীলঙ্কা যায়নি। বিষয়টি সিদ্ধান্ত দিতে ফিফার সহযোগিতা নিয়েছিল এএফসি। ম্যাকাও ওয়াকওভার দেয়ায় শ্রীলঙ্কাকে ৩-০ গোলে বিজয়ী ঘোষণা করে ফিফা। সৌভাগ্যের পরশ নিয়ে বাছাইপর্বে উঠে যায় লঙ্কানরা।
বাছাইপর্বে শ্রীলঙ্কা ছিল দক্ষিণ কোরিয়া, লেবানন, তুর্কমেনিস্তান ও উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে ‘এইচ’ গ্রুপে। উত্তর কোরিয়া নাম প্রত্যাহার করে নেয়ায় আবার কপাল খুলে যায় লঙ্কানদের। তারা কোনো পয়েন্ট না পেলেও চার দলের গ্রুপে হয় চতুর্থ। সে সুবাদে মিলে যায় বাছাইপর্বে সরাসরি খেলার সুযোগ।
বিশ্বকাপ বাছাইয়ে সবচেয়ে বেশি গোল খাওয়া ১০ দেশের মধ্যে শ্রীলঙ্কার অবস্থান সপ্তম। এই তালিকায় আছে দক্ষিণ এশিয়ার আরও দুই দেশ-নেপাল ও মালদ্বীপ। বাংলাদেশের জন্য আরেকটি ভালো খবর, বেশি গোল খাওয়া ১০ দলের মধ্যে নেই লাল-সবুজ জার্সিধারীরা।
বেশি গোল খাওয়া ১০ দল
Advertisement
দেশ
ম্যাচ
গোল
কম্বোডিয়া
৮
৪৪
মিয়ানমার
৮
৩৫
চাইনিজ তাইপে
৮
৩৪
গুয়াম
৮
৩২
মঙ্গোলিয়া
৮
২৭
ইন্দোনেশিয়া
৮
২৭
শ্রীলঙ্কা
৬
২৩
সিঙ্গাপুর
৮
২২
নেপাল
৮
২২
মালদ্বীপ
৮
২০
আরআই/এমএমআর/এমএস