হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি কুলসুম আক্তার কুলসুমীর বদলি হয়ে তিন বছরেরও অধিক সময় কারা ভোগকারী মিনুর মুক্তি মিলেছে। বুধবার (১৬ জুন) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি মুক্ত হন।
Advertisement
মুক্ত হওয়ার বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন মিনুর আইনজীবী অ্যাডভোকেট গোলাম মাওলা মুরাদ।
তিনি বলেন, ‘গত ৭ জুন হাইকোর্ট মিনুকে নিম্ন আদালতের সন্তুষ্টি সাপেক্ষে মুক্তি দেয়ার আদেশ দিয়েছিলেন। নির্ধারিত আইনি প্রক্রিয়া শেষে আমি গতকাল (মঙ্গলবার) মুক্তির বন্ড নির্ধারণের জন্য আদালতে আবেদন করেছিলাম। আজ (বুধবার) চট্টগ্রাম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঞার আদালত মিনুকে মুক্তির আদেশ দেন। আদেশের কপি কারাগারে পৌঁছানোর পর বিকেলে মিনু মুক্ত হয়েছেন।’
মিনুর আইনজীবী মুরাদ আরও বলেন, ‘যাদের কারণে মিনু তিন বছর বিনা অপরাধে কারাভোগ করেছেন, আমি তাদের শাস্তি দাবি করছি। এছাড়া মিনুর ক্ষতিপূরণের বিষয়ে উচ্চ আদালতে আবেদন করা হবে।’
Advertisement
২০১৮ সালের ১২ জুন থেকে একটি হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি কুলসুম আক্তার কুলসুমীর হয়ে কারাভোগ করেছিলেন মিনু আক্তার। পরে বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. শফিকুল ইসলাম।
জানা গেছে, চট্টগ্রাম নগরের কোতোয়ালি থানার রহমতগঞ্জে একটি বাসায় ২০০৬ সালের জুলাই মাসে মোবাইলে কথা বলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে গার্মেন্টকর্মী কোহিনূর আক্তারকে গলা টিপে হত্যা করা হয়। এরপর একটি গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়। পারভিন আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করেন গার্মেন্টকর্মী কুলসুম আক্তার কুলসুমী। এরপর থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়।
মামলায় পুলিশ দুই বছর তদন্ত শেষে পারভিনকে হত্যা করা হয়েছে মর্মে প্রতিবেদন দিলে মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তর করা হয়। এর মধ্যে এক বছর তিন মাস জেল খেটে জামিনে মুক্তি পান কুলসুম।
মামলার বিচার শেষে ২০১৭ সালের নভেম্বরে তৎকালীন অতিরিক্ত চতুর্থ মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম ওই হত্যা মামলায় আসামি কুলসুম আক্তার কুলসুমীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন। ওই সাজার পরোয়ানামূলে কুলসুম আক্তার কুলসুমীর বদলি মিনু কারাগারে যান।
Advertisement
মিজানুর রহমান/এসএইচএস/জিকেএস