বিশেষ প্রতিবেদন

পৌর নির্বাচন : দূরত্বে বিএনপি-জামায়াত

পৌর নির্বাচনে দুই মিত্র বিএনপি ও জামায়াতের সম্পর্কে দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে।দলীয় প্রতীকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে জামায়াতের নির্বাচনে অংশ না নেয়ায় দূরত্বটি আরো স্পষ্ট হয়ে উঠছে।জামায়াত সূত্রে জানা গেছে, আসন্ন পৌর নির্বাচনে স্বতন্ত্র হয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে জামায়াত।এজন্য বিএনপির সঙ্গে কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা না রেখেই নিজেদের কৌশলে এগুচ্ছে দলটি।নিজেদের মতো করেই ‘একলা চলো’নীতিতে নির্বাচনী লড়াইয়ের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে তারা।জানা গেছে, আদালতের রায়ে নিবন্ধন বাতিল হওয়ায় জামায়াতের দলীয় প্রতীক ‘দাঁড়িপাল্লা’ মার্কা নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ পাচ্ছে না দলটি। এ কারণে এবার ৪৪ পৌরসভায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জামায়াতের প্রার্থীরা। এর বাইরে ‘ডামি’ হিসেবেও রয়েছে তাদের অনেক প্রার্থী। একজন বাতিল হলে লড়াইয়ে থাকবেন বিকল্প প্রার্থী।পৌর নির্বাচনে সমন্বয় ও প্রত্যয়নকারী বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, জামায়াত তাদের মতো নির্বাচন করছেন, আমরা আমাদের মতো। তারা আমাদের কাছে কোনো তালিকা দেয়নি। সংখ্যাও দাবি করেনি।তিনি আরো বলেন, ভিন্ন প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করলেও জামায়াত বিএনপির সম্পর্কে কোনো প্রভাব পড়বে না।তবে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত কয়েকজন জামায়াত নেতার ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় কার্যত কোণঠাসা হয়ে পড়েছে দলটি। নানা সমীকরণের কারণে জামায়াতকে না ছাড়লেও স্বস্তিতে নেই বিএনপি।এছাড়া জামায়াতের এই একলা চলো নীতির কারণে সম্পর্কের দূরত্ব আনুষ্ঠানিকভাবে স্পষ্ট হয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে।বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যেই ২০ দলীয় জোটের শরিক অলি আহমেদের এলডিপি এবং মরহুম কাজী জাফর আহমদের জাতীয় পার্টিকে দু’টি মেয়র পদ প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য ছেড়ে দিয়েছে বিএনপি।তারা ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে লড়বেন। অন্য শরিকদের মধ্যে নিবন্ধিত দলগুলো কোনো মেয়র পদ চায়নি বিএনপির কাছে।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র শিবিরের এক শীর্ষ নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জাগো নিউজকে জানান, কৌশলগত কারণে বিএনপির সঙ্গ জামায়াত জোট বেঁধেছে।জামায়াত শিবিরের কারো উপর নির্ভরশীল হওয়ার প্রয়োজন নেই দাবি করে ওই নেতা বলেন, সরকার জামায়াতকে নানাভাবে চাপে রাখার চেষ্টা করলেও গত কয়েকটি নির্বাচনে জামায়াতের যে গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে তা প্রমাণিত হয়েছে।এমএম/এসকেডি/এসএইচএস/এএইচ/পিআর

Advertisement