জাতীয়

‘টিকার কাগজপত্র পাঠানো হলেও চীন এখনো কিছু জানায়নি’

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘চীনের সিনোফার্মের টিকা পেতে সব ধরনের কাগজপত্র সেখানে পাঠানো হয়েছে, তবে তারা এখনো আমাদের কোনো কিছু জানায়নি।’

Advertisement

তিনি বলেন, ‘রাশিয়ার সঙ্গেও আমাদের টিকা পাওয়া নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। তাদের থেকে টিকা পাওয়ার ব্যাপারে দুই একদিনের মধ্যে ভালো খবর আসতে পারে। ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গেও নিয়মিত আলোচনা হচ্ছে। তবে তারা টিকা দেয়ার ব্যাপারে কোনো আপডেট জানায়নি।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বুধবার (১৬ জুন) দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সীমান্ত এলাকাসহ নোয়াখালী এবং মানিকগঞ্জে পর্যন্ত চলে আসছে। অর্থাৎ ঢাকার কাছাকাছি চলে আসছে। এখন সাবধান না থাকলে বিপদ হবে। করোনা সংক্রমণ বেশি। এসব এলাকার আম ব্যবসায়ীদের জন্য সংক্রমণ বাড়তে পারে। যেখানে বাড়ছে সেখানেই লকডাউন দেয়া হচ্ছে।’

Advertisement

তিনি বলেন, ‘বিশ্বের উৎপাদনশীল দেশগুলোতে টিকার সুষম বণ্টন নেই। চীনের টিকা পাওয়ার জন্য অপেক্ষায় আছি। আমাদের হাতে ১১ লাখ টিকা আছে। এগুলো ১৯ তারিখ থেকে ৫ লাখ লোককে দেয়া হবে। দ্বিতীয় ডোজ হাতে রেখেই তাদের ৫ লাখ মানুষকে ভ্যাকসিন দেয়া হবে। ১১ লাখ টিকা সরকারি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের, বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক শিক্ষার্থীসহ বিদেশগামী যাত্রীদের, সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের দেয়া হবে। একইসঙ্গে দেশে টিকা উৎপাদনের জন্য বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ সরকারি প্রতিষ্ঠানেও চেষ্টা চলছে।’

জাহিদ মালেক বলেন, ‘করোনা পরীক্ষা বাড়াতে হবে। এখন ৫০০টি জায়গায় পরীক্ষা হচ্ছে। এটা আরও বাড়াতে হবে। করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় ডাক্তার, নার্স নিয়োগের প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন, ২০ হাজার ডাক্তার নার্স নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আরও যাতে নিয়োগ দেয়া হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘রাশিয়া এবং চীনের টিকার দামের বিষয়ে তাদের সঙ্গে গোপনীয়তার চুক্তি হয়েছিল, কিন্তু সেটা ভঙ্গ হওয়ায় এখন টিকা পেতে দেরি হচ্ছে। তাই এখন তাদের কাছ থেকে টিকার দাম নিয়ে কথা বলা হবে না। তা না হলে টিকা পেতে সমস্যা হবে।’

আইএইচআর/এএএইচ/এমএস

Advertisement