নাটোরে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় দুজন ও উপসর্গ নিয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া জেলায় ৩০১ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১২০ জনের নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৪০ শতাংশ।
Advertisement
এর আগে গত ১৪ জুন ১০১ জনের নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয় ৬১ জনের। এদিন শনাক্তের হার ছিল ৬০ দশমিক ৪০ শতাংশ।
বুধবার (১৬ জুন) বেলা ১১টায় নাটোরের সিভিল সার্জন ডা. কাজী মিজানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ নিয়ে জেলায় করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ৪৪৬ জনে দাঁড়িয়েছে। এদের মধ্যে মারা গেছেন ৩৯ জন।
Advertisement
করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃতদের মধ্যে একজন ঢাকায়, একজন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও অপরজনের নাটোর হাসপাতালে মারা গেছেন। তারা হলেন, নাটোর শহরের মল্লিকহাটি ঘোষপাড়া এলাকার মোফাখেখর জামানের বড় ছেলে পৌর বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক মঈদ উজ্জামান সৌরভ (৫০), নাটোর সদর উপজেলার লালমনিপুর গ্রামের মছের উদ্দিনের ছেলে লারমনিপুর আবু বকর (৬০) ও করোনা উপসর্গ নিয়ে জেরা জামায়াতের সাবেক আমির সিংড়ার শেরকোল গ্রামের বেলাল উজ্জামান (৫৭)।
এদিকে গত আটদিনের কঠোর লকডাউনের শহরে পরিবহন ও মানুষের উপস্থিতি বেড়েছে। শহরের মাদরাসা মোড়, নতুন বাস টার্মিনাল, ছায়াবানী মোড় ও বনবেলঘরিয়া বাইপাস মোড়ে চেকপোস্ট বসিয়ে শহরে প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রণে শক্ত অবস্থান রয়েছে পুলিশ। লকডাউনে স্বাস্থ্যবিধি অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসনের একাধিক ভ্রাম্যমাণ আদালতও কাজ করছে। লকডাউনে স্বাস্থ্যবিধি না মানায় এ পর্যন্ত প্রায় ২০০ জনকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
নাটোরের জেলা প্রশাসক মো. শাহরিয়াজ বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি মানাতে জনগণকে প্রতিনিয়ত সচেতন করা হচ্ছে। গত সাতদিনের লকডাউনে আমরা কিছু সুফল পেয়েছি। কিন্তু করোনার বিস্তার নিয়ন্ত্রিত মাত্রায় এখনো পুরোপুরি আসেনি। তাই ২২ জুন পর্যন্ত লকডাউন বর্ধিত করা হয়েছে।’
রেজাউল করিম/এসএমএম/এএসএম
Advertisement