ভৈরব পৌরসভার নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বাতিলকৃত মেয়র প্রার্থী যুবলীগ কর্মী ইমতিয়াজ আহমেদ কাজলকে (৩৫) গত শনিবার রাতে ভৈরবপুর এলাকা থেকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। বিএনপির যুবদল কর্মী মো. রুবেল মিয়ার দায়েরকৃত একটি মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই মামলায় পৌর নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র হাজী মো. শাহিন এবং উপজেলার বিএনপির সভাপতি মো. রফিকুল ইসলামসহ ৫৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়াও এজাহারে অজ্ঞাত ১০০/১৫০ বিএনপি কর্মীকে মামলায় অভিযুক্ত করা হয়। এর আগে শুক্রবার রাতে বিএনপি কর্মী আরিফুর রহমান খোকনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। এই মামলা দায়ের করার পর গত দু’দিন যাবৎ পুলিশ আসামিদেরকে গ্রেফতার করতে বাড়ি বাড়ি অভিযান চালিয়েছে বলে বিএনপির নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেছে। গ্রেফতারকৃত কাজল রোববার সকালে থানায় বসে অভিযোগ করে বলেন, আমি যুবলীগ কর্মী কিন্তু বিএনপির এ মামলায় ষড়যন্ত্র করে আমাকে আসামি করে গ্রেফতার করা হয়। ভৈরব উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, এবারের পৌর নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী হাজী মো. শাহিনকে ভয়-ভীতিসহ নির্বাচনী প্রচারণা থেকে বিরত রাখতে একটি প্রভাবশালী মহলের ইন্ধনে এই মামলাটি ষড়যন্ত্রমূলক দায়ের করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, সংঘর্ষের ঘটনার দিন আমিসহ অনেকেই ঘটনাস্থলে ছিলাম না। কিন্তু মামলায় আমাদেরকে আসামি করা হয়। তিনি এ ব্যাপারে সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেন। ভৈরব থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বদরুল আলম তালুকদার জাগো নিউজকে জানান, গ্রেফতারকৃত কাজল মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। কেউ মামলায় আসামি হলে পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করার জন্য চেষ্টাতো করবেই। আসাদুজ্জামান ফারুক/এমজেড/পিআর
Advertisement