দেশজুড়ে

জয়পুরহাটে একদিনে করোনা শনাক্ত ৩৭ শতাংশ, বাড়ল বিধিনিষেধ

ভারতীয় সীমান্তবর্তী জেলা জয়পুরহাটে দিন দিন করোনা রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত ১৩ দিনে নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় করোনা শনাক্তের হার ২২ থেকে ৩৭ শতাংশে ওঠানামা করছে।

Advertisement

গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৫২টি নমুনা পরীক্ষা করে ৬৪ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। এক্ষেত্রে একদিনে করোনা শনাক্তের হার ৩৭ শতাংশ।

মঙ্গলবার (১৫ জুন) বিকেলে জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. ওয়াজেদ আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, এ পর্যন্ত জেলায় ১৮ হাজার ৫৫৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২ হাজার ৪৪৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৫ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৬৪০ জন। বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন ১৯৮ জন।

Advertisement

এদিকে মঙ্গলবার জেলা করোনা প্রতিরোধসহ সার্বিক ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় করোনা প্রতিরোধে বিধিনিষেধ চলমান রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। একইসঙ্গে জয়পুরহাট পৌর গরুর হাট ও পাঁচবিবি পৌর গরুর হাট বন্ধ রাখার সময় এক সপ্তাহের জন্য বাড়ানো হয়েছে। ১৪ জুন পর্যন্ত গরুর হাট বন্ধ থাকার কথা থাকলে তা ২১ জুন পর্যন্ত করা হয়েছে। জয়পুরহাটের জেলা প্রশাসক (ডিসি) শরীফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

এদিকে, সীমান্তে বিজিবির নজরদারি থাকলেও মাদকসহ বিভিন্ন পণ্য পরিবহনকালে প্রতিদিন ভারত ও বাংলাদেশের এপার-ওপার হচ্ছেন অনেকে। অনেকে আবার নোম্যান্স ল্যান্ডে তাদের জমি চাষাবাদ করার জন্য পারাপার হচ্ছেন। দু’দেশের সীমান্ত এলাকায় যাদের বসবাস তারা চাষাবাদ কিংবা অন্য কারণে একে অপরের সংস্পর্শে আসছেন। ফলে করোনার ভারতীয় ধরন যেকোনো সময় জয়পুরহাট জেলায় সংক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে।

এ ব্যাপারে বিজিবি ১৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল নাদিম বলেন, ‘১৪ ব্যাটালিয়নের অধীনে দিনাজপুর, জয়পুরহাট ও নওগাঁ জেলায় ভারতের সঙ্গে ৮৭.০১ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। এরমধ্যে জয়পুরহাট জেলায় ভারতের সঙ্গে ২০.৬ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। সীমান্তে ভারতীয় প্রবেশ ঠেকাতে বিজিবির কড়া নজরদারি রয়েছে। অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবি সদস্যরা সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছে।’

জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. শরীফুল ইসলাম বলেন, ‘জেলায় করোনা সংক্রমণের হার আগের তুলনায় কিছুটা কম। এরপরও পূর্বের জারিকৃত বিধিনিষেধ বহাল রাখা হয়েছে। জয়পুরহাট ও পাঁচবিবি পৌর এলাকার হাটকে এক সপ্তাহের জন্য বাড়ানো হয়েছে।’

Advertisement

রাশেদুজ্জামান/এসজে/এমএস