বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের ফলে কুয়েতসহ মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি দেশের শ্রম বাজারে ভাটা পড়েছে। কর্মহীন পরিস্থিতিতে প্রতিদিনই বাধ্য হয়ে নিজ দেশে ফিরে যাচ্ছে শতশত প্রবাসী।
Advertisement
এদিকে কুয়েতের বেশ কিছু কোম্পানি বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে তৎপর হয়ে ওঠেছে। ফলে কিছু অসাধু ভিসা ব্যবসায়ী ভুয়া ভিসা দেখিয়ে প্রতারণা শুরু করেছে। ইতোমধ্যেই কুয়েতে একটি ভুয়া ভিসা রাষ্ট্রদূতের নজরে আসায় নড়েচড়ে বসেছে বাংলাদেশ দূতাবাস।
অবৈধ ভিসা বাণিজ্য বন্ধ, ভুয়া ভিসা প্রদানকারী বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে যথোপযুক্ত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা, কুয়েতে আসার পর বাংলাদেশি শ্রমিকরা যাতে আকামা জটিলতা, কাজের সমস্যা, আবাসন সমস্যাসহ ইত্যাদি সমস্যার সম্মুখীন না হন, সেজন্য দূতাবাস পর্যাপ্ত সতর্কতা অবলম্বন করছে।
সম্প্রতি স্থানীয় এক নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন, রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশিকুজ্জামান। নতুন করে কুয়েতের একাধিক কোম্পানি বাংলাদেশ থেকে দেশটিতে কর্মী নিয়ে আসার প্রক্রিয়া শুরু করেছে বলেও জানান রাষ্ট্রদূত।
Advertisement
তিনি জানান, কোম্পানিগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশ থেকে কুয়েতে আগত নতুন শ্রমিকদের অধিকার, সুযোগ-সুবিধা ও স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে নিয়মিত আলোচনা করছে বাংলাদেশ দূতাবাস।
এ সময় দূতাবাস অবহিত হয়েছে, আমানা ইউনাইটেড জেনারেল ট্রেডিং অ্যান্ড কনট্রাকটিং কোম্পানির নামে ১৮ নম্বর ভিসায় বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নিয়ে আসার প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
দূতাবাসের মাধ্যমে কুয়েতের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে জানা যায়, ওই কোম্পানির নামে প্রদত্ত ভিসা ভুয়া। ভুয়া ভিসা ব্যবসায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, তাদের বিরুদ্ধে যথোপযুক্ত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তিনি বলেন, ভুয়া ভিসা ব্যবসায়ীদের দ্বারা প্রতারিত হলে প্রবাসীরা যেন সব তথ্য সংগ্রহ করে দূতাবাসকে জানায়। কয়েক বছর আগে জাল ভিসায় কুয়েত আসার কারণে শতাধিক প্রবাসী বাংলাদেশিরা কর্মহীন ও আকামা জটিলতায় মানবেতর জীবন যাপন করছিলেন। এক পর্যায়ে আকামা জটিলতার কারণে তাদেরকে দেশেও চলে যেতে হয়েছিল।
Advertisement
বর্তমান পরিস্থিতিতে সে রকম ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে এ বিষয়ে কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের প্রতি আবেদন জানিয়েছেন কুয়েত প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
এমআরএম/এমএস