ফরিদপুরের সালথায় মিলাদ পড়াকে কেন্দ্র করে মামা-ভাগনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় আহত মো. ইদ্রিস কারিগর (৫৬) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
Advertisement
মঙ্গলবার (১৫ জুন) বিকেলে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশিকুজ্জামান।
নিহত ইদ্রিস উপজেলার যদুনন্দী ইউনিয়নের যদুনন্দী গ্রামের বাসিন্দা। মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর মঙ্গলবার সকালে প্রতিপক্ষের বাড়িতে হামলা চালিয়ে তিনটি ঘর ভাঙচুর করেন মৃতের স্বজনরা। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এ ঘটনা নিয়ে নতুন করে সহিংসতার আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (৪ জুন) জুমার নামাজের সময় উপজেলার যদুনন্দী গ্রামে একটি মসজিদের ভেতর মিলাদ দাঁড়িয়ে নয় বসে পড়া হবে- এ নিয়ে ইদ্রিসের সঙ্গে প্রতিবেশী ইমান আলীর ছেলে আফজাল ও লিপনের বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে সেখানে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
Advertisement
এ সময় হামলায় গুরুতর আহত হন ইদ্রিস। তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার (১৪ জুন) তিনি মারা যান। ইদ্রিস আর আফজাল ও লিপন সম্পর্কে মামা-ভাগনে।
আহত ইদ্রিসের স্ত্রী মরিয়ম বেগম ও ভাইয়ের স্ত্রী নাসিমা খানম বলেন, মিলাদ পড়া নিয়ে ইদ্রিসের ওপর অতর্কিতভাবে হামলা করে ইমান আলীর ছেলে আফজাল ও লিপন। এতে তার মাথা ফেটে যায়।
ইমানের স্ত্রী রোকেয়া বেগম বলেন, ‘মিলাদ পড়া নিয়ে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে আমার সন্তানদের আগে মারধর করে ইদ্রিস ও তার ভাই সিদ্দিক। ওরা পাল্টা হামলা করলে আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ইদ্রিস। এ ঘটনায় গ্রামের অন্য কেউ জড়িত ছিল না।’
সালথা থানার ওসি মো. আশিকুজ্জামান বলেন, ‘সংঘর্ষের ঘটনায় ইমান আলীর পক্ষ থেকে থানায় একটি মামলা হয়েছে। আহত ইদ্রিসের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর ওই এলাকার পরিবেশ শান্ত রাখতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ ওই এলাকায় প্রবেশের আগে একটি বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে।’
Advertisement
এসজে/এমএস