বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে আগামী ২২ ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে যাচ্ছে সীমান্ত সম্মেলন। ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। সম্মেলেনে এবার গুরুত্ব পাবে সীমান্ত হত্যা, মাদক ও ফেলানির সর্বশেষ ইস্যু। রোববার দুপুরে রাজধানীর ঢাকার পিলখানাস্থ বিজিবি সদর দফতরের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ। বিজিবির সদর দফতরে মহাপরিচলক পর্যায়ে এ সীমান্ত সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেন, ২০১২ সালের ৫ ডিসেম্বর বিজিবি’র মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করি। এরপর সফলতা ব্যর্থতার মধ্য দিয়ে আমার পথচলায় চোখ ও কান হিসেবে কাজ করেছে মিডিয়া। মিডিয়ার কারণে আমি সীমান্তবর্তী এলাকার খবর জানতে পারি।তিনি আরো বলেন, আমার আমলে আমি ২৭৩টি স্থপনা নির্মাণ করেছি। আরো ১৬৭টি প্রক্রিয়াধীন। এক্ষেত্রে প্রত্যেকটি বিজিবি ব্যাটালিয়ন সাহসিকতার সঙ্গে সহযোগিতা করে আসছে।তিনি বলেন, বিজিবি’র ট্রেনিংয়ে নিয়ে আসা হযেছে আমূল পরিবর্তন। সশস্ত্র বাহিনীর প্রশিক্ষণ ও অস্ত্রের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিজিবির সদস্যদের যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। সেনা বাহিনীর নতুন প্রশিক্ষণ কৌশলও এখানে সংযুক্ত করা হচ্ছে।ওয়ারলেস কমিউনিকেশন ছাড়াও এখন প্রতিটি ব্যাটালিয়নের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য চালু করা হয়েছে ভিডিও কনফারেন্স। এর ফলে বিজিবি-ব্যাটালিয়ন ও বিওপি’র মধ্যে কানেক্টেভিটি আরও জোরদার হয়েছে।বিজিবির অপারেশন কার্যক্রমে সংযুক্ত করা হয়েছে ২০টি ডগ (কুকুর)। মাত্র ২৫ হাজার রুপিতে কুকুরগুলো ভারত থেকে কিনে ও প্রশিক্ষণ দিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। এ ডগ স্কোয়াড মাদক স্বর্ণ ও ইয়াবা ধরতে কার্যকরী।বর্ডার আউটপোস্ট (বিওপি) বিজিবি’র চালিকা শক্তি উল্লেখ করে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, বিজিবি’র রয়েছে সাড়ে সাতশ’ বিওপি। আমাদের প্রধান ফোকাস হচ্ছে বিওপি’র উন্নয়ন। আগামী বছর আরও ৬০টি বিওপি স্থাপণ করা হবে।বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, বিজিবি সদস্যদের তাৎক্ষণিক সেবা দেয়ার জন্য ৩টি হাসপাতাল নির্মাণ করা হয়েছে। টেলি মেডিসিন কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। এজন্য ৩৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে সফটওয়্যার। এছাড়া বিজিবি সদর দফতরে বিজিবি সদস্যদের সন্তানদের লেখা পড়ার সুবিধার্থে আলাদা হোস্টেল নির্মাণ করা হয়েছে।জেইউ/জেডএইচ/পিআর
Advertisement