রাজনীতি

জামায়াত-হেফাজত ও তেঁতুল হুজুররা মুখোশধারী জঙ্গি : ইনু

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেছেন, জামায়াত-হেফাজত ও তেঁতুল হুজুররা আসলে কোনো আলেম নয়। এরা মুখোশ পরা জঙ্গি। তারা রাজাকারপন্থী ও পাকের অনুচর।

Advertisement

মঙ্গলবার (১৫ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

ইনু বলেন, পুরনো স্বভাব না বদলিয়ে জঙ্গি-সন্ত্রাসীদের নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে বিএনপি। তারা এখনো জঙ্গি-সন্ত্রাসী তেঁতুল হুজুরদের রক্ষা করার জন্য বক্তব্য-বিবৃতি দিয়েই চলেছে। এই তিন ভাইরাস পুষে রেখে জীবনও বাঁচবে না। জীবিকাও বাঁচবে না। তাদের কোনো ছাড় না দিয়ে ধ্বংস করতে হবে। জঙ্গি-দুর্নীতি-করোনা এই তিন ভাইরাসকে ধ্বংস করে সুশাসন ও সমাজতন্ত্রের পথে এগিয়ে যেতে হবে।

সম্প্রতি একটি রাডার কেনায় দুর্নীতির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দুর্নীতির একটি ভয়ংকর খবর জানা গেছে সাম্প্রতিককালে। ১৭৫৫ কোটি টাকা দিয়ে রাডার কেনার সব আয়োজন সম্পন্ন হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে সেই রাডার কেনা হয়েছে মাত্র ৬৩০ কোটি টাকায়। কারা এই টাকা লুটপাট করে খাওয়ার আয়োজন করেছিল? হাতের পর হাত, ঘাটের পার ঘাট ঘুরে প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাওয়ার পর চুরির ঘটনা ধরা পড়লো। বাজেটে বরাদ্দ তাই যথেষ্ট নয়। বরাদ্দ অর্থ ব্যয়, প্রকল্প প্রণয়ন, বাস্তবায়ন সব ক্ষেত্রেই দুর্নীতিবাজ-লুটেরাসের সিন্ডিকেটের আচড় বিদ্যমান। সরকারের সামগ্রিক কেনাকাটায় স্বচ্ছতা আনতে হবে। চিহ্নিত দুর্নীতিবাজদের সিন্ডিকেট ধ্বংস করতে হবে। কালোটাকা বাজেয়াপ্ত করতে হবে। তারেক-কোকোর পাচারকৃত অর্থের মতো বেগমপল্লীর সেকেন্ড হোমের পাচারের অর্থও ফেরত আনতে হবে। দুর্নীতিবাজদের কারাগারে পাঠাতে হবে।

Advertisement

বাজেট প্রসঙ্গে ইনু বলেন, অর্থমন্ত্রীর খাত অগ্রাধিকার নির্ণয় সঠিক কিন্তু বরাদ্দ বেঠিক। এ বাজেট অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের নীতির নয়। এটি এক বছর পেটে-ভাতে চলার বাজেট। বাজেটে প্রবৃদ্ধি হবে, কিন্তু পুষ্টিসম্মত অর্থনীতির সূচনা হবে না।

তিনি আরও বলেন, দেশ-বিদেশের অভিজ্ঞতায় এবার বাজেটে গতানুগগিতকতার বাইরে যাওয়ার সুযোগ ছিল। সুযোগ ছিল করোনা মোকাবিলায় যুদ্ধকালীন প্রস্তুতি ও অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের কৌশলগত সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার সুস্পষ্ট ছক করার। কিন্তু তা করা হয়নি।

জাসদ নেতা বলেন, এখন জাতির এক নম্বর অগ্রাধিকার হওয়া উচিত টিকা সংগ্রহ। টিকা নিয়ে সমন্বয়হীনতা ও তুঘলকি কাণ্ড বন্ধ করতে হবে। দেশে টিকা উৎপাদনের ব্যবস্থা করতে হবে। এক বছরের মধ্যে সবাইকে টিকা দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। করোনাভাইরাসকে পরাজিত করতে হবে। করোনাভাইরাসকে পরাজিত করতে না পারলে সব অর্থহীন হয়ে যাবে।

তিনি বলেন, প্রতি বছরই বাজেটের আকার বাড়ছে। দেশের উন্নয়ন হচ্ছে। মানুষ সুফল পাচ্ছে। উন্নয়নের সাথে দুর্নীতিও বাড়ছে। অনেকে দুর্নীতিকে উন্নয়নের অনুষঙ্গ মনে করলেও আমি তা মনে করি না। আমি বিশ্বাস করি দুর্নীতিমুক্ত উন্নয়ন সম্ভব। এতে উন্নয়নের গতি কয়েক গুণ বেড়ে যাবে। দেশ শাসনেও সুশাসন দরকার। বাজেটে বাস্তবায়নেও সুশাসন দরকার।

Advertisement

এইচএস/এমএসএইচ/এএসএম