জাতীয়

ফের চালু হলো বায়েজিদ সংযোগ সড়ক

চট্টগ্রামের বায়েজিদ সংযোগ সড়ক আজ থেকে আবারও চালু হয়েছে। গত ৯ জুন পাহাড় ধস ও বাকি কাজ সম্পন্ন করার কথা বলে সড়কটি তিন মাসের জন্য বন্ধ করে দেয় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। কিন্তু মাত্র ৬ দিনের মাথায় আগের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে সড়কটি খুলে দেয়া হয়েছে।

Advertisement

মঙ্গলবার বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করে সিডিএর প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস বলেন, ‘পাহাড় ধস ও বাকি কাজ সম্পন্ন করার জন্য সড়কটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু এটি বন্ধ করার প্রভাব পড়েছে চট্টগ্রাম শহরে। জিইসি মোড়, ২ নম্বর গেট ও খুলনা এলাকায় মারাত্মক যানজটের সৃষ্টি হয়। সড়কটি খুলে দেয়ার জন্য আমাকে নগর পুলিশ কমিশনার ও চট্টগ্রাম চেম্বারের পরিচালক অনুরোধ করেছেন। তাছাড়া আমি নিজে সরেজমিনে যানজটের বিষয়টি দেখেছি। তাই সবমিলিয়ে আবার সড়কটি খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সড়কটি খুলে দেয়া হলেও এটার ফুটপাত বন্ধ থাকবে। যেকোনো ধরনের জনসমাগম নিষিদ্ধ থাকবে। এছাড়া সড়কটির মাঝখানে কিছু ঝুঁকিপূর্ণ জায়গা আছে এবং সেখানের একটি অংশে কাজ চলছে। তাই ওই অংশের দুটি লেন বন্ধ থাকবে।’

বায়েজিদ সংযোগ সড়ক খুলে দেয়ার বিষয়টি ট্রাফিক পুলিশকে জানানো হয়েছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে।

Advertisement

জানা গেছে, গত ৯ জুন থেকে থেকে আগস্ট পর্যন্ত চট্টগ্রামের বায়েজিদ সংযোগ সড়ক বন্ধ করে সিডিএ। কারণ হিসেবে বলা হয়েছিল, বৃষ্টির কারণে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি এলাকার দুই-তিনটি পাহাড় খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এসব পাহাড়ের বেশিরভাগই বালি। তাই এগুলোর মাটি পরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া জরুরি।

আবার সড়কটির পুরোপুরি কাজ সম্পন্ন না হওয়ার আগে চট্টগ্রামবাসীর সুবিধার্থে খুলে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু সড়কে কয়েকটি ব্রিজের কাজ চলমান রয়েছে। এসব কাজ সম্পন্ন করতে সড়কটি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

চট্টগ্রামের মূল শহর থেকে যানবাহনের চাপ কমাতে বায়েজিদ থেকে ফৌজদারহাট পর্যন্ত সংযোগ সড়কটি নির্মাণ করেছে সিডিএ। ছয় কিলোমিটারের এই সড়ক নির্মাণে কাটা হয় ১৬টি পাহাড়। পরিবেশ অধিদফতর থেকে আড়াই লাখ ঘনফুট পাহাড় কাটার অনুমোদন নিয়ে ১০ লাখ ৩০ হাজার ঘনফুট পাহাড় কাটার দায়ে ১০ কোটি টাকার জরিমানাও গুনেছে সিডিএ।

৩২০ কোটি টাকার এই প্রকল্পের আওতায় সড়কটিতে নির্মাণ করা হচ্ছে ১২টি কালভার্ট ও ৬টি ব্রিজ। এই প্রকল্পের একাধিকবার মেয়াদ বৃদ্ধি করে সর্বশেষ ২০১৯ সালের জুন মাসে সমাপ্ত হওয়ার কথা ছিল। তবে পুনরায় মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যেও কাজ শেষ হওয়া নিয়েও তৈরি হয়েছে সংশয়।

Advertisement

মিজানুর রহমান/এমএসএইচ/এএসএম