দেশজুড়ে

সাবেক মেয়র কামরানের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন তিনি। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এ পদেই ছিলেন। পৌরসভার কমিশনার থেকে চেয়ারম্যান হয়েছিলেন। এরপর দুইবার ছিলেন সিটি করপোরেশনের মেয়র। দীর্ঘ ৩৩ বছর দায়িত্ব পালন করেছেন জনপ্রতিনিধি হিসেবে।

Advertisement

সিলেটের এই সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ, ১৫ জুন। গত বছরের এই দিনে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তার।

সিলেট আওয়ামী লীগের প্রয়াত এই নেতার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে গত কয়েকদিন ধরে দলের অঙ্গসংগঠন, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন এবং ব্যক্তি উদ্যোগে নানান কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। তবে মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে নিজেরা কোনো কর্মসূচি পালনের উদ্যোগ না নিয়ে ওয়ার্ড কমিটির উপর মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের দায়িত্ব দিয়েছে মহানগর আওয়ামী লীগ।

মহানগর আওয়ামী লীগ সকাল সাড়ে ৯টায় কামরানের কবর জিয়ারত এবং বাদ আছর প্রত্যেক ওয়ার্ডে মিলাদ মাহফিল করার কর্মসূচি দিয়েছে।

Advertisement

তবে করোনার অজুহাতে মহানগর আওয়ামী লীগ এক বছরেও শোকসভার আয়োজন করেনি। কিন্তু চলতি ১১ মার্চ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী কয়েস করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেলে এক সপ্তাহের মধ্যেই শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়। এ নিয়ে দলের নেতাকর্মীদের মাঝেও অস্বস্তি ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।

এ বিষয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সিটি কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও সব ধরনের সাংগঠনিক কার্যক্রম চলছে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আমরা মাসব্যাপী নানান কর্মসূচি পালন করেছি। কিন্তু বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের শোকসভার প্রসঙ্গ উঠলেই অজুহাত দাঁড়ায় করোনার। তার মতো একজন নেতার মৃত্যুতে এক বছরেও শোকসভা করতে না পারা খুবই দুঃখজনক। এ নিয়ে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মনে দুঃখ আছে।’

সিলেট নগরের লন্ডনীরোড এলাকার বাসিন্দা গণমাধ্যমকর্মী মুক্তাদীর আহমদ নিজের ফেসবুকে লিখেছেন, সিলেটের সমকালীন রাজনীতির সবচেয়ে জনপ্রিয় মানুষ বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের আজ ১ম মৃত্যুবার্ষিকী। তার প্রস্থানে সিলেটের রাজনৈতিক ও সামাজিক অঙ্গনে যে শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছে তা এখন তীব্রভাবে অনুভব করছে সিলেটের মানুষ। বদর উদ্দিন কামরান নামটি সিলেটের মানুষের অনুভূতির সঙ্গে মিশে আছে। তার চলে যাওয়া সিলেটের জনমানুষের রাজনৈতিক ও সামাজিক ভাবনায় যেমন ছন্দপতন ঘটিয়েছে, তেমনি জন আকাঙ্ক্ষার ভারসাম্য নষ্ট হয়েছে।

কাজিটুলা এলাকার শিক্ষক হুমন আহমদ চৌধুরী কামরানের শূন্যতার কথা তুলে ধরে বলেন, ‘আগে সিলেটে ছোট-বড় কোনো সমস্যা হলে মানুষ কামরানের কাছে ছুটে যেতেন। অথবা সমস্যা শুনলে কামরান নিজে ছুটে আসতেন। তার মৃত্যুতে নগরবাসী তাদের প্রকৃত অভিভাবককে হারিয়েছে। সিলেটের মানুষ আপদে-বিপদে তার শূন্যতা হাড়ে হাড়ে অনুভব করছে।’

Advertisement

৬৯ বছর বয়সে ২০২০ সালের ১৫ জুন ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

ছামির মাহমুদ/এমএইচআর/এএসএম