দেশজুড়ে

চট্টগ্রামে করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত

চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের (ধরন) উপস্থিতি পাওয়া গেছে। পাশাপাশি আধিক্য দেখা গেছে দক্ষিণ আফ্রিকার ধরনের।

Advertisement

চট্টগ্রাম বিভাগের সাতটি কোভিড-১৯ শনাক্তকরণ ল্যাব ও হাসপাতাল থেকে সংগ্রহ করা ৪২টি নমুনার ধরন বিশ্লেষণ করে দুইটি ভারতীয় ধরন (ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট) পাওয়া গেছে। পাশাপাশি তিনটি নাইজেরিয়ার, চারটি যুক্তরাজ্যের এবং বাকি ৩৩টি দক্ষিণ আফ্রিকার ধরন শনাক্ত হয়েছে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগ ও আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) এক যৌথ গবেষণায় এতথ্য উঠে এসেছে।

চট্টগ্রামে ভারতীয় ধরনের কমিউনিটি সংক্রমণ প্রাথমিকভাবে শুরু হয়েছে বলে ধারণা গবেষক দলের।

Advertisement

সোমবার (১৪ জুন) বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান গবেষকরা।

গবেষক দলের প্রধান ও চবির জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের ফাংশনাল জিনোমিক্স অ্যান্ড প্রোটিওমিক্স ল্যাবরেটরির প্রধান গবেষক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আল্-ফোরকার বলেন, ‘সংক্রমণের শুরু থেকে কোভিড-১৯ এ পর্যন্ত মোট ১০ বার রূপ পরিবর্তন করেছে। এর মাধ্যমে মূলত ছয়টি দেশে অতিসংক্রমণ ও মহামারি আকার ধারণ করে। আমাদের বর্তমান গবেষণায় চট্টগ্রামে চারটি ধরন পাওয়া গেছে। বিভিন্ন দেশ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ভারতীয় ধরনের সংক্রমণ ক্ষমতা অনেক বেশি।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রতি সপ্তাহে আমাদের নমুনা সংগ্রহ চলছে। বর্তমানে নমুনার ধরন বিশ্লেষণের পাশাপাশি ভাইরাসের সম্পূর্ণ জিনোম সিকোয়েন্সের কাজ শুরু হয়েছে। নতুন কোনো মিউটেশন হয়েছে কি-না তারও বিশ্লেষণ করা হবে।’

গবেষণার সহযোগী গবেষক এবং চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. সুযত পাল বলেন, ‘এই গবেষণার ফলে চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসের কোন ধরনের আধিক্য রয়েছে তা জানা যাবে। যা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় সহায়ক হতে পারে।’

Advertisement

বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদের অর্থায়নে এ গবেষণা কার্যক্রমের সঙ্গে আরও যুক্ত আছেন চবির জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. লায়লা খালেদা, একই বিভাগের প্রভাষক মো. জিবরান আলম ও রাহী হাসান চৌধুরী, এমফিল গবেষক অমিত দত্ত ও ডা. শুভ দাশ, গবেষণা সহকারী ইনজামামুল ইসমাইল শাওন, বিভাগের শিক্ষার্থী মো. আবদুর রহমান অপু, মো. মিফতাহ মুশফিক এবং অম্লান ভট্টাচার্য্য।

রোকনুজ্জামান/এসআর/এএসএম