ছিনতাই করে পালিয়ে যাওয়ার সময় পিস্তলসহ তিন ছিনতাইকারীকে আটক করেছে পুলিশ। এসময় এক ছিনতাইকারী পালিয়ে যায়। শনিবার রাত পৌনে ৯টার দিকে ঘটনাটি ঘটে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ডোমার সড়কের রামডাঙ্গা ফরেস্ট নামক স্থানে। আটক ছিনতাইকারীরা হলেন, ডিমলা উপজেলার উত্তর তিতপাড়া গ্রামের মৃত আলিমুর রহমানের ছেলে শামীম হোসেন (২০), দক্ষিণ তিতপাড়া গ্রামের রশিদুল ইসলামের ছেলে মিজানুর রহমান (২১) ও তাদের সহযোগী ভ্যানচালক বাবুরহাট গ্রামের মহুবার রহমানের ছেলে খোকন ইসলাম (৩০)। আটকদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পালিয়ে যাওয়া অপর ছিনতাইকারী হলেন, ডিমলা হাসপাতাল পাড়ার পাথারু মাহমুদের ছেলে কলেজছাত্র রাব্বী (১৯)। আটক ছিনতাইকারীরা সকলে মাদকাসক্ত বলে এলাকাবাসী জানান।ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ডিমলা উপজেলার দক্ষিণ সুন্দরখাতা গ্রামের ধনেশ্বর রায়ের ছেলে বিশ্বজিৎ রায় একটি চা কোম্পানির প্রতিনিধি। তিনি ডিমলার বিভিন্ন দোকানে চা সরবরাহ করে ঘটনার সময় বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় ওই ছিনতাইকারীরা তার পথরোধ করে কপালে পিস্তল ঠেকিয়ে তার কাছে থাকা ৮`শ টাকা, মোবাইল ফোন ছিনতাই করে তাকে ছেড়ে দেন। এসময় ছিনতাইয়ের ঘটনার অদূরে ডিমলা থানা পুলিশের টহল দল অবস্থান করছিল। চা কোম্পানির প্রতিনিধি বিশ্বজিৎ ছিনতাইকারীদের কাছ থেকে ছাড়া পেয়ে বুদ্ধি করে অদূরে থাকা টহল পুলিশের কাছে ছুটে যান। সেখানে পুলিশের দায়িত্বে থাকা ডিমলা থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) সাজুসহ সঙ্গীয় ফোর্স তাৎক্ষিণকভাবে ঘটনাস্থলে ছুটে গেলে এক ছিনতাইকারী পালিয়ে যান। এসময় ভ্যান চালকসহ তিনজন ছিনতাইকারী আটক করে। পুলিশ তাদের কাছ থেকে একটি পিস্তল উদ্ধার করে ডিমলা থানায় নিয়ে আসে। আটকরা তাদের সঙ্গে থাকা পিস্তলটি খেলনা পিস্তল জানিয়ে বলে তারা মাদকাসক্ত। মাদকের অর্থ জোগাড়ে তারা খেলনা পিস্তলটি ব্যবহার করেছেন। এ ব্যাপারে বিশ্বজিৎ রায় বাদী হয়ে ডিমলা থানায় মামলা-৯ দায়ের করেছেন।ডিমলা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমীন খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে উদ্ধারকৃত পিস্তলটি খেলনা পিস্তল বলে মন্তব্য করে জানান, আটকদের বিরুদ্ধে ছিনতাইয়ের মামলা করা হয়েছে। আটকদের বোরবার সকালে আদালতের মাধ্যমে জেলে পাঠানো হয়েছে।জাহেদুল ইসলাম/এমজেড/পিআর
Advertisement