গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনের অংশ হিসেবে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম অালমগীর। সপ্তম দফা কারামুক্তির পর রোববার সকালে নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।মির্জা আলমগীর বলেন, বিরোধী জোটের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ধরপাকড় অভিযান অব্যাহত রয়েছে। বিএনপি বিশাল রাজনৈতিক দল। গ্রামে গ্রামে বিএনপির অনেক সমর্থন রয়েছে। সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে বিএনপি নির্বাচনে জয়লাভ করবে।নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষভাবে কাজ করছে না অভিযোগ করে তিনি বলেন, অতীতে সিটি ও উপজেলা নির্বাচনে নিরপেক্ষভাবে কাজ করেনি ইসি। এবারের পৌরসভা নির্বাচনেও নিরপেক্ষ দায়িত্ব পালন করছে না। তারা একটি দলের হয়ে কাজ করছে।এসব প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও গণতন্ত্রের স্বার্থে এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিএনপি পৌরসভা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে বলে জানান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব।পৌর নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা পৌর নির্বাচনে নিরপেক্ষতার চিহ্ন মাত্র দেখতে পাচ্ছি না। অপরদিকে নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের যে বিধি দিয়েছে তাতেও নিরপেক্ষতার চিহ্ন নেই। এরপরও জনগণ ভোট দিতে পারলে এবং বিএনপির প্রার্থীরা নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণা করতে পারলে অবশ্যই আমরা ভালো করবো।২০ দলীয় জোটের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, জনগণের ভোটাধিকার, মৌলিক অধিকার ও দেশে গণতন্ত্র ফিরে আনতেই বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিয়েছে।পৌর নির্বাচন কেমন হবে জানতে চাইলে বিএনপির এই নেতা বলেন, ২০১৪ সালে জাতীয় নির্বাচন, ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন ও উপজেলা নির্বাচন যেমন হয়েছে ঠিক তেমনি পৌর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বলেছে বিএনপি জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসীদের দল। এই কথা বলে আওয়ামী লীগ সবিরোধী কথা বলেছে। কারণ আওয়ামী লীগ যা বলে তা নিজেদের সুবিধার জন্য।মির্জা আলমগীর বলেন, গত এক বছরে ৫৫ জন রাজনৈতিক নেতা গুম হয়েছে। এছাড়া অনেকেই নিহত, আহত ও বিনা কারণে কারাবরণ করেছে। যারা গণতন্ত্র পূর্ণউদ্ধারের আন্দোলনের জন্য ত্যাগ স্বীকার করেছেন তাদের প্রতি আমি শ্রদ্ধা জানায়। দেশে গণতন্ত্র না থাকলে দেশে উগ্রবাদ ও সন্ত্রাসী মাথাছাড়া দিয়ে উঠবে।এরআগে সকাল সাড়ে ১১ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। এসময় দলীয় নেতাকর্মীরা মির্জা ফখরুলকে ফুলে দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।প্রসঙ্গত, গত ১ ডিসেম্বর নাশকতার তিন মামলায় মুক্তি পান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এরপর আজ প্রথম তিনি নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসেন।এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন, যুব বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সহ-দফতর সম্পাদক আব্দুল লতিফ জনি, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানাসহ প্রমুখ।এমএম/জেডএইচ/এমএস
Advertisement