আপত্তিকর কনটেন্ট ও ভুয়া আইডি রোধে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে সহযোগিতা চেয়েছে বাংলাদেশ। রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। প্রায় পৌনে তিন ঘণ্টার বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, বৈঠকের ব্যাপারে এখনই আপনাদের বিস্তারিত বলতে পারবো না। তবে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। আমরা বেশ কয়েকটি ইস্যুতে তাদের সহযোগিতা চেয়েছি এবং তারা আমাদের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মানুষের কাছে ফেসবুক খুবই জনপ্রিয়। তবে নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকি এবং জাতীয় স্বার্থকে নষ্ট করে এমন পরিস্থিতি আমরা এড়িয়ে চলতে চাই। তাই ফেসবুক বন্ধ রাখা হয়েছে।তিনি আরো বলেন, ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা হলো দ্রুতই তা খুলে দেয়া হবে। বাংলাদেশে সামাজিক যোগাযোগের এই ওয়েবসাইট কবে নাগাদ খুলতে পারে সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছু বলেননি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।তিনি বলেন, আমরা তো আগেই বলেছি যে নিরাপত্তা প্রশ্নে আমরা বন্ধ রেখেছি। তাদের সঙ্গে আমরা আলোচনা করেছি। আমাদের সবকিছু জানিয়েছি। তাদের সঙ্গে আমাদের একটা ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।সকাল ১০টা থেকে শুরু হওয়া বৈঠকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকও উপস্থিত ছিলেন।ফেসবুকের প্রতিনিধি হিসেবে বৈঠকে ছিলেন কোম্পানির দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ল’ এনফোর্সমেন্ট স্পেশালিস্ট বিক্রম লাংয়ে এবং পাবলিক পলিসি ম্যানেজার দিপালী লিবারহান।পুলিশ মহাপরিদর্শক একেএম শহীদুল হক, র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক জিয়াউল আহসান এবং পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক জাবেদ পাটোয়ারি আলোচনায় অংশ নেন। এছাড়া বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারও উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে কী কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সব ধরনের আলোচনা হয়েছে। আমাদের এখানে ফেইসবুক অ্যাবিউজড হয়েছে, প্রপাগান্ডা হচ্ছে। এ বিষয়গুলো তাদের জানানো হয়েছে। ফেসবুক ফিল্টার করা হবে কি না সে বিষয়ে কথা হয়েছে।এই আলোচনার বিষয়ে শিগগিরই সবাইকে জানানো হবে বলেও আশ্বাস দেন মন্ত্রী। গত ১৮ নভেম্বর থেকে বাংলাদেশে ফেসবুকসহ কয়েকটি অ্যাপ বন্ধ রয়েছে, যদিও বিকল্প পথে অনেকেই এসব ব্যবহার করছেন।এসএ/এসএইচএস/এসকেডি/এমএএস/এমএস
Advertisement