আসরের প্রথম তিন ম্যাচ জিতে উড়ন্ত সূচনা করেছিল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। কিন্তু পরের তিন ম্যাচ হেরে টালমাটাল অবস্থায় পড়ে যায় মতিঝিলের ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি। চির প্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনী লিমিটেডকে বৃষ্টি আইনে ৩১ রানের ব্যবধানে হারিয়ে জয়ে ফেরে তারা। এবার ওল্ড ডিওএইচএসের বিপক্ষেও বৃষ্টি আইনে জিতল সাদা-কালোরা।
Advertisement
সাভারের বিকেএসপিতে মোহামেডানের ব্যাক টু ব্যাক জয়ের নায়ক উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান ইরফান শুক্কুর। তার ঝড়ো ফিফটিতে ভর করে ১৫৯ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় মোহামেডান। ইরফান খেলেন ৪২ বলে ৬৮ রানের ইনিংস।
পরে ডিওএইচএসের ইনিংসের ১৪তম ওভারে নামে বৃষ্টি, বন্ধ হয় খেলা। পরে বৃষ্টি থামলে তাদের নতুন লক্ষ্য দেয়া হয় ১৬ ওভারে ১২৫ রানের। কিন্তু ১৬ ওভার শেষে ১১৫ রানের বেশি করতে পারেনি ডিওএইচএস। যার সুবাদে ৯ রানের ব্যবধানে আসরে নিজেদের পঞ্চম জয় তুলে নেয় মোহামেডান।
মোহামেডানের দেয়া ১৬০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে খুবই ধীর ছিলেন ডিওএইচএসের দুই ওপেনার আনিসুল ইসলাম ইমন ও রাকিন আহমেদ। উদ্বোধনী জুটিতে ৭.৩ ওভারে আসে ৪৭ রান। রানআউটে কাঁটা পড়ে সাজঘরে ফিরতে হয়ে ২৮ বলে ২৩ রান করা ইমনকে। পরের ওভারে আউট হন ২১ বলে ১৭ রান করা রাকিন।
Advertisement
এরপর খানিক দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করেন মাহমুদুল হাসান জয়। তার ব্যাট থেকে আসে ১৮ বলে ২৬ রান। এছাড়া ১৭ বলে ২০ রানে অপরাজিত থাকেন অধিনায়ক মোহাইমিনুল খান সৌরভ। শেষদিকে ম্যাচ জিততে যেমন ঝড়ো ব্যাটিং প্রয়োজন ছিল তা করতে পারেননি ডিওএইচএস অধিনায়ক।
এর আগে মোহামেডানের ইনিংসের শুরুটা খুব একটা ভালো ছিল না। ইনিংসের প্রথম ৯ ওভারে মাত্র ৫৮ রান তুলতেই ২ উইকেট হারায় তারা। এরপর দলের দায়িত্ব নিজের কাঁধে নেন ইরফান। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে ৩ চার ও ৫ ছয়ের মারে ৪২ বলে ৬৮ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। যার সুবাদে ১৫৯ রানের সংগ্রহ পায় মোহামেডান।
এসএএস/জিকেএস
Advertisement