নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে বেশি করোনা রোগী ভর্তি রয়েছে। হাসপাতালের ৩১ শয্যার করোনা ইউনিটে ভর্তি রয়েছে ৩৮ জন। ধারণ ক্ষমতা না থাকায় আউটডোরে চিকিৎসা দিয়ে রোগীদের ফেরত পাঠাচ্ছেন চিকিৎসকরা।
Advertisement
হাসপাতাল সূত্র জানায়, সদর হাসপাতালে নেই কোনো আইসিইউ। মাত্র ১৫ লিটার ধারণ সম্পন্ন অক্সিজেন সিলিন্ডার দিয়ে চলছে চিকিৎসা। করোনা পরিস্থিতিতে হাসপাতালে অক্সিজেন টারবাইন প্ল্যান্ট স্থাপন হয়নি। রাজশাহী থেকে রিফিল করে করে এনে রোগীদের অক্সিজেন দেয়া হচ্ছে। হাসপাতালে চিকিৎসক সঙ্কট না থাকলেও নার্স-আয়া-ক্লিনারসহ অন্যান্য পদে জনবল সঙ্কট রয়েছে।
নাটোর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. মঞ্জুরুর রহমান বলেন, নির্মাণাধীন ২৫০ শয্যার একটি ফ্লোরে আরও ২০টি বেড স্থাপনের চেষ্টা চলছে। আগামী সপ্তাহ থেকে সেটি চালু করা সম্ভব হবে।
সিভিল সার্জন কাজী মিজানুর রহমান বলেন, আধুনিক সদর হাসপাতাল ছাড়াও ভবঘুরে পুনর্বাসন কেন্দ্র, প্রাণের আমাজাদ মেমোরিয়াল হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আইসিইই না থাকায় অনেক রোগীকে রামেক হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে বলে স্বীকার করেন তিনি।
Advertisement
রেজাউল করিম রেজা/আরএইচ/এএসএম