সিলেটে লাফিয়ে লাফিয়ে দাম বাড়ার কারণে ভোজ্যতেল সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। এছাড়া কেজিতে ৩০ টাকা বেড়েছে গুঁড়া দুধের দাম। ডিমের দামও ডজনে বেড়েছে ১০ টাকা। তবে কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের ঝাঁজ।
Advertisement
শনিবার (১২ জুন) সিলেটের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পেঁয়াজের দাম গত সপ্তাহের চেয়ে তুলনায় কেজিতে ১০-১৫ টাকা পর্যন্ত কমেছে। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৮-৫০ টাকায়। এছাড়া এলসির পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪২-৪৫ টাকা কেজি দরে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, পেঁয়াজের বাজার হঠাৎ অস্থির হয়ে উঠলেও এখন দাম কমতে শুরু করেছে। তবে ভোজ্য তেলের দাম কোনোভাবেই কমছে না। আগে পাঁচ লিটার সয়াবিন তেল যে দামে পাওয়া যেত সেই দামে এখন দুই লিটার কেনা যায়।
নগরীর প্রধান পাইকারি বাজার কালীঘাটে দেখা গেছে, ৬৭৫ থেকে শুরু করে ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে পাঁচ লিটারের বিভিন্ন বোতলজাত সয়াবিন তেল। আর বিভিন্ন কোম্পানির তেল লিটার প্রতি পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে ১৩৫-১৪০ টাকায়। খুচরা বাজারে এক লিটার তেল বিক্রি হচ্ছে ১৪৫-১৫০ টাকায়। সপ্তাহের ব্যবধানে সয়াবিনের দাম লিটারে বেড়েছে ১০-১২ টাকা।
Advertisement
নগরীর কাজির বাজারের নবাব রোড থেকে বাজার করতে এসেছিলেন শিক্ষক মোহাম্মদ মঈনুদ্দিন। সয়াবিন তেলের দাম শুনে তিনি রীতিমত হতাশ।
তিনি বলেন, গেল বছর এই সময়ে পাঁচ লিটার তেলের দাম ছিল ৪৬৫-৫০০ টাকার মধ্যে। ছয় মাসের ব্যবধানে দাম প্রায় ২০০ টাকা বেড়েছে। বাড়ছে চিনি, গুঁড়া দুধ এবং ডিমের দামও। ৬২ টাকার চিনি এখন ৭২-৭৫ টাকা। এক সপ্তাহ আগেও আধা কজি মার্কসের গুঁড়া দুধ কিনেছি ২৮৫ টাকায়। আজ কিনতে হলো ৩০০ দিয়ে। একইভাবে গত সপ্তাহে প্রতি হালি ডিম বিক্রি হয়েছে ৩২ টাকায়। হালিতে তিন টাকা বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকা করে। এক আলু ছাড়া শাকসবজির বাজারও চড়া।
তিনি বলেন, এ অবস্থা চলতে থাকলে নিম্ন ও মধ্য আয়ের লোকজন চরম বিপাকে পড়বেন। তাই এখনই সরকারকে বাজার নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করতে হবে।
মেডিকেল রোডের গোসারিশপ লিবার্টির মালিক ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন জানান, পণ্যের দাম উঠা নামায় খুচরা ব্যবসায়ীদের কিছু করার থাকে না। পাইকারি বাজারে যে দামে ক্রয় করি সেই অনুপাতে বিক্রি করতে হয়। তবে বেশ কয়েকমাস ধরেই ভোজ্য তেলের বাজার চড়া। সয়াবিন তেলের দাম কমছেই না। তবে পেঁয়াজের দাম বেশ কমেছে বলে জানান তিনি।
Advertisement
ছামির মাহমুদ/এএইচ/এএসএম