করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সতর্কতামূলক ব্যবস্থার অংশ হিসেবে আন্তর্জাতিক রুটে চলাচলকারী যাত্রীদের জন্য হজরত শাহজালালসহ অন্যান্য দুটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নমুনা পরীক্ষার নেগেটিভ সনদ প্রদর্শন বাধ্যতামূলক হলেও অভ্যন্তরীণ রুটে যাত্রীদের করোনা পরীক্ষার সুব্যবস্থা নেই।
Advertisement
বর্তমানে রাষ্ট্রীয় বিমান পরিবহন সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সসহ বিভিন্ন বেসরকারি এয়ারলাইন্স অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে। দ্রুততম সময়ে যাতায়াতের জন্য যাত্রীদের অনেকেই আকাশপথকে বেছে নিচ্ছেন। কিন্তু অভ্যন্তরীণ রুটের ফ্লাইটে যাত্রীদের জন্য করোনা পরীক্ষার সুব্যবস্থা না থাকার কারণে তাদের কারও কারও মাধ্যমে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন স্বাস্থ্য ও রোগতত্ত্ব বিশেষজ্ঞরা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক স্বাস্থ্য ও রোগতত্ত্ব বিশেষজ্ঞ বলেন, এতদিন রাজধানী ঢাকায় সংক্রমণ ও মৃত্যুর শীর্ষে অবস্থান করলেও বর্তমানে রাজশাহী, খুলনা, চট্টগ্রাম ও রংপুর বিভিন্ন বিভাগের বেশকিছু জেলায় করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। এসব জেলায় আক্রান্তদের মধ্যে ভারতের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত রোগী পাওয়া যাচ্ছে। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত রোগীদের একেকজনের মাধ্যমে কয়েকজন রোগী আক্রান্তের ঝুঁকি থাকে। চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, রংপুর এ সকল বিভাগে অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইটে যাত্রী চলাচল অব্যাহত রয়েছে।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের একজন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানান, করোনা রোগীদের অনেকেরই উপসর্গ থাকে না। আন্তর্জাতিক রুটের অনেক যাত্রীর ক্ষেত্রে তারা দেখেছেন, কোনো ধরনের উপসর্গ না থাকলেও নমুনা পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ। তাদের ক্ষেত্রে নমুনা পরীক্ষার মাধ্যমে জানা সম্ভব হলেও অভ্যন্তরীণ রুটে এ সুযোগ না থাকায় উপসর্গবিহীন করোনায় আক্রান্ত একজন রোগীর মাধ্যমে কয়েকজন আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। অভ্যন্তরীণ রুটের যাত্রীদের মাধ্যমে করোনার সংক্রমণ রোধে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে একটি ভালো উপায় খুঁজে বের করা উচিত বলে মনে করেন তিনি।
Advertisement
এমইউ/ইএ/এমকেএইচ