নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার নেতৃত্বে প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের (৫০) ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার পর বসুরহাটে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
Advertisement
শনিবার (১২ জুন) সকাল সাড়ে ৮টায় বসুরহাট বাজারে প্রধান সড়কের ইসলামী ব্যাংকের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে মেয়র কাদের মির্জা তার ৩০-৩৫ জন অনুসারী নিয়ে বসুরহাট বাজারে মহড়া দিচ্ছিলেন। এসময় বাদল ও সাবেক ছাত্রনেতা হাসিব আহসান আলাল (৪৮) ঢাকার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন। কাদের মির্জার পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তার অনুসারীরা বাদল ও আলালের ওপর হামলা চালায়। এসময় তাদের মারধর ও গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।
এরপর আহত অবস্থায় কোম্পানীগঞ্জ থানায় নিয়ে গেলে পুলিশি পাহারায় তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
Advertisement
কোম্পানীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জাগো নিউজকে বলেন, ‘গাড়ি ভাঙচুরসহ মিজানুর রহমান বাদল ও হাসিব আহসান আলালকে মারধর করা হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
এ ব্যাপরে জানতে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনার পর বসুরহাটে আবারও উত্তেজনাসহ থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বাজারের ব্যবসায়ী ও ক্রেতা-বিক্রেতারা আতঙ্কে রয়েছেন। যেকোন মুহূর্তে বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কাও করছেন তারা।
প্রসঙ্গত, গত পাঁচ মাস কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের দ্বন্দ্বে এলাকায় অস্থিতিশীল পরিবেশ বিরাজ করছে। দু’পক্ষই নিজেদেরকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের অনুসারী বলে দাবি করছে। ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই মেয়র আবদুল কাদের মির্জা একপক্ষের ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল অপরপক্ষের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
Advertisement
এসএমএম/এএসএম