জাতীয়

বৈষম্যমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার আহ্বান স্পিকারের

অনগ্রসর জনগোষ্ঠীকে সমাজের মূল ধারায় অধিকতর সম্পৃক্ত করে বৈষম্যমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার আহ্বান  জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ও সিপিএ নির্বাহী কমিটির চেয়ারপার্সন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। সক্ষমতা বৃদ্ধি ও সরকার প্রদত্ত সুযোগ সুবিধার আওতাভুক্ত করার মাধ্যমে তাদের মূল ধারায় সম্পৃক্ত করার আহ্বান জানান তিনি। শনিবার রাজধানীর বিএমএ মিলনায়তনে বিশ্ব মর্যাদা দিবস উপলক্ষে হরিজন ঐক্য পরিষদ ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন আয়োজিত দলিত হরিজন সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ আহ্বান জানান স্পিকার।  শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, দলিত ও হরিজনরাও সমাজ ও রাষ্ট্রের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাদের বাদ দিয়ে দেশের পরিপূর্ণ উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই তিনি দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে সকলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার মধ্য দিয়ে ভিশন-২০২১ এর লক্ষ্যকে সামনে রেখে জাতীয় উন্নয়ন টেকসই করতে কাজ করার আহ্বান জানান। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানে সকল মানুষের সমানাধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। সংবিধানে সমাজের কোন শ্রেণি পেশার মানুষের মধ্যে বৈষম্যের সুযোগ নেই বরং অনগ্রসর জনগোষ্ঠীকে এগিয়ে নেয়ার সুযোগ রয়েছে। তাই পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থানসহ উন্নয়নের সকল ক্ষেত্রে সম সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। বৈষম্য দূরীকরণে প্রতিবন্ধকতাসমূহ দূরীভূত করতে হবে। দলিত জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে বর্তমান সরকার গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের বিবরণ দিয়ে স্পিকার বলেন, সরকার সমাজের পশ্চাদপদ জনগোষ্ঠীকে সমাজের মূল ধারায় সম্পৃক্ত করার জন্য  কাজ করে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের দেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্য নিয়ে যে সংগ্রাম করেছেন তা যথাযথভাবে বাস্তবায়নে আমাদের সংবিধানের মূল কথা শোষণ, বঞ্চনা, দারিদ্র ও বৈষম্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ হরিজন ঐক্য পরিষদের মহাসচিব নির্মল চন্দ্র দাস মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। বাংলাদেশ হরিজন ঐক্য পরিষদের সভাপতি কৃষ্ণ লালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে ঢাকা মহানগর পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি জে এল ভৌমিক, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম, অনিক আছাদ এবং আঞ্চলিক নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।এইচএস/এসএইচএস/আরআইপি

Advertisement