ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ছিনতাই চক্রের সক্রিয় সদস্য আমীর হোসেন ওরফে চান মিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। চান মিয়া মহাসড়কের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রাইভেটকারে যাত্রী তুলে গন্তব্যে পৌঁছে দেয়ার কথা বলে যাত্রীদের সর্বস্ব ছিনিয়ে নিতেন বলে জানায় পুলিশ।
Advertisement
বুধবার (৯ জুন) রাতে ঢাকা থেকে তাকে তথ্যপ্রযুক্তি সহায়তায় গ্রেফতার করে পুলিশ।
পররদিন বৃহস্পতিবার (১০ জুন) টাঙ্গাইল আদালতে হাজির করা হলে কারখানাকর্মী ওবায়দুল হকের টাকা ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
গ্রেফতার চান মিয়া ঢাকার মিরপুর এভিনিউয়ের ৫ এর রোড নং ১০ এর বাসিন্দা শামসুল হকের ছেলে।
Advertisement
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মির্জাপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আলাউদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, গত ১৩ মে ঈদুল ফিতরের ছুটিতে মির্জাপুরের গোড়াই শিল্পাঞ্চল এলাকার ইমপ্রেস নিউটেক্স কারখানার শ্রমিক ওবায়দুল হক তার স্ত্রী ও ভাতিজাকে নিয়ে বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশে গোড়াই বাসস্ট্যান্ডে বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এসময় চান মিয়াসহ তিনজন একটি সাদা রঙের প্রাইভেটকার নিয়ে তাদের সামনে এসে জানতে চান- কোথায় যাবেন? ওবায়দুল কুড়িগ্রামের কথা বললে ১৭০০ টাকা ভাড়ায় রাজি হন তারা।
কিছু দূর যাওয়ার পর প্রাইভেটকারে যাত্রীবেশে থাকা ছিনতাইকারীরা তাদের হাত-মুখ বেঁধে মারপিট করতে থাকেন। এসময় তাদের সঙ্গে থাকা ৮৩ হাজার টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় ছিনতাইকারীরা। পরে মহাসড়কের মির্জাপুরের ধল্যা বাসস্ট্যান্ডের কাছাকাছি জায়গায় তাদের নামিয়ে দেয়া হয়।
এর পরদিন ১৪ মে ওবায়দুরল হক এ বিষয়ে মির্জাপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
Advertisement
ছিনতাই হওয়া তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে ঘটনার সঙ্গে চান মিয়ার জড়িত থাকার বিষয়ে নিশ্চিত হয় পুলিশ। পরে গত বুধবার ঢাকার মিরপুর এলাকা থেকে চান মিয়াকে গ্রেফতার করেন মির্জাপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আলাউদ্দিন। এসময় তার কাছ থেকে ছিনতাই হওয়ার মোবাইল ফোন ও ১০ হাজার টাকা জব্দ করা হয়।
মির্জাপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ রিজাউল হক দিপু বলেন, ‘প্রাইভেটকারে যাত্রী তুলে মালামাল ও টাকা ছিনতাইকারী চক্রের সদস্য চান মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।’
এস এম এরশাদ/এসএমএম/জিকেএস