ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীত পড়তে শুরু করছে উত্তরের জনপদ। হিমালয়ের পাদদেশ থেকে বয়ে আসা মৃদু হিমেল হাওয়া আর কুয়াশায় কষ্ট বাড়েছে দিনমজুর, গরীব, অসহায় এবং ছিন্নমূল মানুষের। শনিবার দিনভর দেখা মিলেনি সূর্যের। খড়কুটা জ্বালিয়ে ও কুণ্ডুলি পাকিয়ে বসে শীত নিবারণের চেষ্টা করতে দেখা গেছে অনেককেই।দিনাজপুরে শনিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯৮ শতাংশ। জেঁকে সবা কনকনে শীতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে শিশু ও বয়স্করা। তারা ঠান্ডাজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। হাসপাতালে শিশু ও বয়স্ক রোগী সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। শীতবস্ত্রের অভাবে অনেকেই খড়-কুটা জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা চালাচ্ছেন। ঘন কুয়াশা আর হিমেল বাতাসের ঝাপ্টায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষ। শনিবার হঠাৎ করেই শীতের তীব্রতা বেড়েছে। আকস্মিক শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ার ফলে দরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষেরা দুর্ভোগে পড়েছে। বিশেষ করে বস্ত্রহীন ছিন্নমূল মানুষেরা শীতের তীব্রতায় কাবু হয়ে পড়েছে। শীতের এই তীব্রতা অব্যাহত থাকলে এসব দরিদ্র মানুষের জীবন আরো দুর্বিসহ হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করছে আবহাওয়াবিদরা।রাহেলা খাতুন নামে ষাটোর্ধ্ব এক ছিন্নমূল এক মহিলাকে দিনাজপুর রেল স্টেশনের সামনে রাস্তার ধারে জড়ো সরো অবস্থায় রোদের আশায় বসে থাকতে দেখা গেছে।দিনাজপুরে এখনো সরকারি বা বেসরকারিভাবে কোনো শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছেনা। অপরদিকে, নির্বাচনের কারণে কোনো রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তিও শীতবস্ত্র বিতরণ করছে না কোনো ঝামেলায় না পড়ার আশঙ্কায়।দিনাজপুর আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, শনিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।এমদাদুল হক মিলন/এআরএ/আরআইপি
Advertisement