প্রায় দেড় যুগের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে তিন ফরম্যাট মিলে ৪০২টি ম্যাচ খেলেছেন ভারতের সাবেক অলরাউন্ডার যুবরাজ সিং। কিন্তু এক ম্যাচের জন্যও ভারতের অধিনায়কত্ব পাননি তিনি। অথচ ২০০৭ সালে, ক্যারিয়ারের সপ্তম বছরেই জাতীয় দলে টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব পাওয়ার আশায় ছিলেন যুবরাজ।
Advertisement
কিন্তু যুবরাজকে না দিয়ে, তখন ক্যারিয়ারের তৃতীয় বছরে থাকা মহেন্দ্র সিং ধোনিকে অধিনায়কত্ব দেন নির্বাচকরা। পরে ধোনির নেতৃত্বেই ২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসরেরর শিরোপা জিতেছিল ভারত। অধিনায়কত্ব না পেলেও, খেলোয়াড় হিসেবে নিজের সেরাটাই দিয়েছিলেন যুবরাজ।
২০০৭ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভরাডুবির পর, টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে তরুণ কাউকে অধিনায়ক বাছাই করা হবে- এমনটা ধরেই নিয়েছিলেন যুবরাজ। ততদিনে জাতীয় দলে জায়গা পাকা করে ফেলায়, অধিনায়কত্ব পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী ছিলেন তিনি। কিন্তু সেটি পেয়ে যান ধোনি।
প্রায় ১৪ বছর পর এ বিষয়ে কথা বলেছেন যুবরাজ সিং। শচিন টেন্ডুলকার, সৌরভ গাঙ্গুলি, রাহুল দ্রাবিড়ের মতো অভিজ্ঞদের অনুপস্থিতির পরেও, অধিনায়কত্ব না পাওয়ায় খানিক বিস্মিতই হয়েছিলেন তিনি। যদিও মাঠের খেলায় এর প্রভাব পড়তে দেননি। সেই আসরে মাত্র ১২ বলে ফিফটিসহ ছয় ম্যাচে ১৪৮ রান ও ১টি উইকেট নেন যুবরাজ।
Advertisement
এক পডকাস্টে যুবরাজ বলেছেন, ‘ভারত তখন পঞ্চাশ ওভারের বিশ্বকাপ হেরে গিয়েছিল। দেশের ক্রিকেটে তখন বড় ধাক্কা ও পালাবদল চলছিল। ইংল্যান্ড সফরের মাত্র দুই মাস এবং এর এক মাস পরই ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা ও আয়ারল্যান্ড সফর। এগুলোর পরই ছিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তাই প্রায় চার মাস দেশের বাইরে থাকতে হয়েছিল।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘তাই সিনিয়ররা ভেবেছিলেন তাদের একটা বিরতি দরকার। কারণ কেউই তখন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপটা গুরুত্বের সঙ্গে নেয়নি। তো সেই বিশ্বকাপে আমি ভারতের অধিনায়কত্ব করার আশায় ছিলাম। কিন্তু পরে ঘোষণা দেয়া হয় যে, এমএস ধোনি অধিনায়ক থাকবে।’
এসএএস/এমকেএইচ
Advertisement