দলের সবচেয়ে বড় তারকা তিনি। স্বাভাবিকভাবেই সবচেয়ে বেশি প্রত্যাশা তাই তার ওপরেই। কিন্তু ব্যাট হাতে সেই প্রত্যাশা একদমই পূরণ করতে পারছেন না মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। অধিনায়কের একের পর এক হতাশাময় ব্যাটিংয়ে চাপে পড়ছে মোহামেডান।
Advertisement
বৃহস্পতিবার ষষ্ঠ রাউন্ডের ম্যাচে লেজেন্ডস অব রুপগঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে মোহামেডান। যেখানে রানের খাতাই খুলতে পারেননি সাকিব। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের চলতি আসরে এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো শূন্য রানে আউট হয়েছেন তিনি।
সাকিবের শূন্য রানে আউট হওয়ার দিনে হতাশ করছেন বাকি ব্যাটসম্যানরাও। যার ফলে দলীয় ২০ রান হওয়ার আগেই সাজঘরে ফিরে গেছেন পাঁচ ব্যাটসম্যান। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মোহামেডানের সংগ্রহ ৭ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৯ রান।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্তই নিয়েছেন মোহামেডান অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। কিন্তু এ সিদ্ধান্ত বুমেরাং হয়ে ফিরেছে তাদের ওপরেই। সাকিব ছাড়াও শূন্য রানে আউট হয়েছেন মাহমুদুল হাসান লিমন এবং নাদীফ চৌধুরী।
Advertisement
ইনিংসের চতুর্থ ওভারের পঞ্চম বলে মোহাম্মদ শহিদের শর্ট লেন্থের ডেলিভারি জায়গায় দাঁড়িয়ে অফসাইডে ফ্ল্যাশ করে থার্ডম্যানে সীমানার কয়েকগজ সামনে ক্যাচে পরিণত হন সাকিব। সবমিলিয়ে ছয় বল খেলেও কোনো রান করতে পারেননি তিনি। এর আগে পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচেও শূন্য রানে আউট হন তিনি।
চলতি ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে ছয় ম্যাচে সাকিবের ইনিংসগুলো যথাক্রমে ২৯, ০, ২০, ২, ২২ ও ০; অর্থাৎ ছয় ম্যাচে মাত্র ১২.১৬ গড়ে ৭৩ রান করতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। যেখানে একবারও ত্রিশের বেশি করতে পারেননি তিনি, এক অঙ্কে থেমেছেন তিনবার। সাকিবের এমন ব্যাটিং ব্যর্থতা শুধু মোহামেডান নয়, বাংলাদেশ দলের জন্যও অশনি সংকেত।
মাত্র ১৯ রানে মোহামেডানের ৫ উইকেট তুলে নেয়ার মূল কারিগর সোহাগ গাজী ও মোহাম্মদ শহিদ। নিজের প্রথম তিন ওভারে ২ মেইডেনসহ মাত্র ৪ রান খরচায় ২ উইকেট নিয়েছেন গাজী, শহিদের শিকার ৩ ওভারে ১১ রানে ২ উইকেট। এছাড়া অন্য উইকেট নিয়েছেন নাঈম ইসলাম।
এসএএস/জিকেএস
Advertisement