পেস বোলিংয়ে গতি আর সুইংকে গুলিয়ে ফেললে কিছুই সম্ভব হয় না, মনে করেন ভারতের সাবেক পেসার ইরফান পাঠান। ভুবনেশ্বর কুমার থেকে শোয়েব আখতার হতে গেলে বিপদ আরও বাড়বে, পেস এবং সুইং বোলারদের মধ্যে পার্থক্য দেখাতে গিয়ে তিনি এমন বিশ্লেষণ টেনে আনেন।
Advertisement
‘প্লেফিল্ড’ ম্যাগাজিনের এক কলামে ইরফান পাঠান লিখেছেন, ‘ফাস্ট বোলার ক্যাটাগরিতে না যেতে পারার হতাশা তোমাকে কিছুই এনে দিতে পারবে না। তুমি ভুবনেশ্বর থেকে শোয়েব আখতার হতে পারবে না, এটা অসম্ভব। (সেটা করতে গেলে) তুমি নিজের সুইংটাও হারাবে, তারপরও ব্যাটসম্যানকে বিপদে ফেলার মতো গতিময় হতে পারবে না।’
৩৬ বছর বয়সী ভারতের সাবেক এই গতিতারকা বরং তরুণদের উপদেশ দিলেন, বলের গতি বাড়ানোর পরিবর্তে সুইং বোলাররা যাতে স্লোয়ার আর কাটারের মতো বৈচিত্র্যের দিকে নজর দেয়। বোলিংয়ে বৈচিত্র্য আনতে পারলেই বিশ্বের যে কোনো জায়গায় টিকে থাকা সম্ভব, মনে করেন ইরফান।
তিনি বলেন, ‘একজন সুইং বোলার সাধারণত ১৩০-১৩৫ গতিতে বল করে, বৈজ্ঞানিকভাবে সর্বোচ্চ সুইং পেতে হলে এই গতিটাই সেরা। কিন্তু সেই বোলারই যদি ইয়র্কার, স্লোয়ার কিংবা কাটার এই গতিতেই করতে পারে, তবে বিশ্বের যে কোনো জায়গায় টিকে থাকতে পারবে।’
Advertisement
ভুবনেশ্বর কুমারকে সুইং বোলারের উৎকৃষ্ট উদাহরণ মনে করেন ইরফান পাঠান। ভারতীয় এই পেসারকে নিয়ে সাবেক এই অলরাউন্ডার বলেন, ‘ভুবনেশ্বরকে উদাহরণ হিসেবে ধরা যায়। সে কিন্তু এক্সপ্রেস বোলার নয়। কিন্তু যখন সে বল সুইং করে, তখন তাকে আটকায় কে! অধিনায়ক সবসময় তাকে ডেথে রাখতে পছন্দ করে। কেননা তার নাকল, স্লোয়ার এবং ইয়র্কার করার সামর্থ্য আছে। বলে ম্যুভমেন্ট থাকতে হবে, এটাই জরুরী।’
এমএমআর/এএসএম