একঝাঁক চলচ্চিত্র তারকা ও কর্মী-সমর্থকের বহর নিয়ে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনতে গিয়েছিলেন চলচ্চিত্র প্রযোজক, পরিচালক ও অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল। কিন্তু বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখে ফরম না কিনেই ফিরে আসেন তিনি।
Advertisement
জানা গেছে, আওয়ামী লীগের কোনো পর্যায়ের প্রাথমিক সদস্য নন ডিপজল। তাই শর্ত পূরণ না হওয়ায় তার কাছে মনোনয়ন ফরম বিক্রি করেনি আওয়ামী লীগ।
সেখানে এ বিষয়টিও আলোচনায় আসে যে ডিপজল বিএনপি সমর্থিত সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর।
ঘটনা সম্পর্কে জানা গেছে, ডিপজলের আগে মনোনয়ন কিনতে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে হাজির হন বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য এখলাস উদ্দিন মোল্লাহ। তাকে মনোনয়ন দেয়া হয়নি। কারণ তিনি আওয়ামী লীগের কোনো পর্যায়ের প্রাথমিক সদস্যপদ দেখাতে পারেননি।
Advertisement
তার অবস্থা সামনে থেকে অবলোকন করে মনোনয়ন ফরম না চেয়েই ফিরে যান চলচ্চিত্র অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল। কারণ তারও কোনো প্রাথমিক সদস্য পদ নেই আওয়ামী লীগে।
গতকাল (৮ জুন) ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ঘটে এ ঘটনা। সেখানে ঢাকা-১৪ আসনে উপনির্বাচনের মনোনয়ন ফরম কিনতে যান ডিপজল।
কিন্তু আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কেনার যোগ্যতা না থাকায় নিরাশ হয়ে কার্যালয় ছাড়তে বাধ্য হন ডিপজল ও তার সমর্থকরা। তার সঙ্গে থাকা চলচ্চিত্র তারকা ও সমর্থক সবাই ডিপজলের সঙ্গে দ্রুত আওয়ামী লীগ কার্যালয় ত্যাগ করেন।
এসময় ডিপজলের সঙ্গে ছিলেন জায়েদ খান, মিশা সওদাগর, রুবেল, রোজিনা, অঞ্জনা, দিলারা, নৃত্যশিল্পী মাসুম বাবুলসহ একঝাঁক চলচ্চিত্র শিল্পী। তাদের মধ্যে অনেকেই আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থক হিসেবে পরিচিত। কেউ কেউ দায়িত্ব পালন করছেন আওয়ামী লীগের কিছু অঙ্গ সংগঠনে।
Advertisement
ঘটনাটি আওয়ামী লীগে বেশ চাঞ্চল্যের জন্ম দিয়েছে। হাস্যরসের পরিবেশ তৈরি করেছে এফডিসি ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
এদিকে এ প্রসঙ্গে বক্তব্য জানতে ডিপজলের ব্যবহার করা তিনটি মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করলে সেগুলো বন্ধ পাওয়া যায়।
এলএ/এমএস