করোনাভাইরাসে ভারত একেবারেই বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। তবে গত কয়েকদিনে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে। সংক্রমণ ও মৃত্যু কিছুটা কমে আসায় বিভিন্ন রাজ্যে লকডাউন শিথিল করা হয়েছে।
Advertisement
বিভিন্ন স্থানে কড়াকড়ি শিথিলের অংশ হিসেবে বুধবার থেকে আবারও জমে উঠতে শুরু করেছে কফি হাউসের আড্ডা। তবে সরকারি বিধিনিষেধ মেনে মাত্র তিন ঘণ্টার জন্যই খোলা থাকবে কফি হাউস। একই সঙ্গে থাকছে একাধিক নিষেধাজ্ঞা।
ইন্ডিয়ান কফি হাউস ওয়ার্কার্স কো-অপারেটিভ লিমিটেডের সেক্রেটারি তপন পাহাড়ি বলেন, ‘সরকারি সব বিধিনিষেধ মেনে কফি হাউস খোলা হবে মাত্র তিন ঘণ্টার জন্য। এরপর রাজ্য সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
গতবছর প্রথমবার লকডাউনের সময় বন্ধ হয়েছিল কফি হাউস। পরে কফি হাউস খুলে দেয়া হয়। এরপর করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে আবারও বন্ধ রাখা হয়।
Advertisement
কফি হাউসের আড্ডা ফিরলেও অনেক কিছুতেই ব্যাপক পার্থক্য থাকছে। চিরচেনা চেহারা বেশ বদলে যাচ্ছে। কফি হাউসে আসা লোকজনকে শারীরিক দূরত্ব মানতে হবে। কমিয়ে দেয়া হয়েছে টেবিলের সংখ্যা। একাধিক মেনু বাদ দেয়া হয়েছে।
সকালের বদলে বিকালে খোলা থাকবে কফি হাউস। তাও মাত্র তিন ঘণ্টার জন্য। বিকেল পাঁচটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা থাকবে কফি হাউসের আড্ডা।
পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, গোটা রাজ্যে একদিনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ৫ হাজার ৪২৭ জন। এরমধ্যে শুধুমাত্র উত্তর ২৪ পরগনায় আক্রান্ত হয়েছে ১ হাজার ১৮১ জন। অর্থাৎ দৈনিক সংক্রমণে প্রথম স্থানে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা।
তবে আগেরদিনের তুলনায় কিছুটা হলেও কমেছে সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছে ১ হাজার ১০৯ জন। কিছুটা স্বস্তি মিলেছে কলকাতা। সেখানে ৫২৮ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। তৃতীয় স্থানে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় একদিনে সংক্রমিতের সংখ্যা ৩৪১। হাওড়া ও হুগলিতে একদিনে আক্রান্ত যথাক্রমে ৩০২ ও ২৪৪ জন।
Advertisement
করোনা ঠেকাতে গত ১৬ মে থেকে রাজ্যে জারি করা বিধিনিষেধ কাজে আসছে। অনেকটাই নেমে এসেছে রাজ্যের দৈনিক সংক্রমণ। সঙ্গে স্বস্তি মিলেছে মৃত্যু কমায়। গত মাসের প্রথম থেকে যেভাবে করোনা তাণ্ডব শুরু করেছিল তা কিছুটা হলেও এখন নিয়ন্ত্রণে আছে। সেখানে সুস্থতার হার বেড়ে ৯৭.৪৭ শতাংশ। এসব কারণেই ধীরে ধীরে কড়াকড়ি তুলে নেয়া হচ্ছে।
টিটিএন/এএসএম