করোনায় স্থগিত হওয়া নোয়াখালীর হাতিয়া ও সূবর্ণচর উপজেলার ১৩ ইউনিয়নে আগামী ২১ জুন ভোটগ্রহণের ঘোষণা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। জেলায় করোনা সংক্রমণের হার বেড়ে যাওয়ায় নির্বাচন নিয়ে ফের শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
Advertisement
এর আগে ১১ এপ্রিল (রোববার) প্রথম ধাপের ইউপি নির্বাচনে এ ১৩টি ইউনিয়নের ভোটগ্রহণের কথা ছিল। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে সেটি স্থগিত হয়ে যায়। এরপর গত ৩ জুন (বৃহস্পতিবার) নির্বাচন কমিশনের সভায় পুনরায় আগামী ২১ জুন (সোমবার) ভোটগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
ইউনিয়নগুলো হচ্ছে- উপকূলীয় সুবর্ণচর উপজেলার চরবাটা, চরক্লার্ক, চরওয়াপদা, চর আমানউল্যাহ, পূর্বচরবাটা ও মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন এবং দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় চরঈশ্বর, চরকিং, তমরদ্দি, সোনাদিয়া, বুড়ির চর, জাহাজমারা ও নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়ন।
হাতিয়ার তমরদ্দি বাজারের ব্যবসায়ী হামিদ উল্যাহ বলেন, দ্বীপের লোকজন করোনা পরীক্ষায় অনাগ্রহী। ফলে বোঝা যাচ্ছে না এখানে কি পরিমাণ লোক করোনায় আক্রান্ত।
Advertisement
সূবর্ণচর উপজেলার শিক্ষক আবু তাহের বলেন, নোয়াখালী জেলা এখন করোনা ঝুঁকিতে রয়েছে। এর মধ্যে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে করোনা আরও বেড়ে যেতে পারে।
সুবর্ণচর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বিমলেন্দ কিশোর পাল বলেন, আগামী ২১ জুন উপজেলার ছয় ইউনিয়নের ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত দেয়া হয়েছে। সেই হিসেবে প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রবিউল হাসান বলেন, নোয়াখালী পৌরসভা ও সদরে চলমান লকডাউনের বিষয়টি নির্বাচন কমিশনকে জানানো হয়েছে। তবে আগামী ২১ জুন ভোটগ্রহণের প্রস্তুতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
নোয়াখালী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান বলেন, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন নির্বাচন কমিশন। সবকিছু জেনে ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত দিলে ভোটগ্রহণ চলবে। তিনি সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলারও অনুরোধ করেন।
Advertisement
প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় নোয়াখালী পৌরসভা ও সদরে উপজেলার ছয় ইউনিয়নে গত ৫ জুন (শনিবার) থেকে আগামী শুক্রবার (১১ জুন) মধ্যরাত পর্যন্ত বিশেষ লকডাউনের ঘোষণা দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
আরএইচ/জিকেএস