শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তাহবিলে গত এক বছরের লভ্যাংশের ৩৩ কোটি ৩ লাখ ৪ হাজার ৪০৩ টাকা জমা দিয়েছে দুটি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন দিয়েছে ৩১ কোটি ৪০ লাখ ৪ হাজার ৪০৩ টাকা এবং অক্সিজেন উৎপাদরকারী প্রতিষ্ঠান লিন্ডে বাংলাদেশ দিয়েছে এক কোটি ৬৩ লাখ টাকা।
Advertisement
মঙ্গলবার (৮ জুন) সচিবালয়ে প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের কাছে প্রতিষ্ঠান দুটির শীর্ষ কর্মকর্তারা লভ্যাংশের চেক হস্তান্তর করেন।
গ্রামীণফোনের প্রধান মানবসম্পদ কর্মকর্তা (সিএইচআরও) সৈয়দ তানভির হোসেনের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের এক প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎ করে চেক হস্তান্তর করেন।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গ্রামীণফোন এ পর্যন্ত ১৮৩ কোটি ৮৪ হাজার ৩৬৩ টাকা জমা দিয়েছে।
Advertisement
পরে লিন্ডে বাংলাদেশ’র মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান সাইকা মাজেদ তাদের কোম্পানির গত এক বছরের লভ্যাংশের টাকার চেক প্রতিমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘করোনার এই দুর্যোগকালীন গত এক বছরে প্রায় প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে কর্মরত ৩ হাজার ২৬৯ জন শ্রমিককে চিকিৎসা সহায়তা বাবদ ৯ কোটি ৯৬ লাখ ৯০ হাজার টাকা, কর্মরত অবস্থায় মৃত ৯২ জন শ্রমিকের পরিবারকে ৩৯ লাখ ২০ হাজার টাকা, শ্রমিকদের সন্তানের শিক্ষা সহায়তা বাবদ ১৬৬ জনকে ৫২ লাখ ৮৫ হাজার টাকা সহায়তা দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া, চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে সংঘটিত দুর্ঘটনায় ১৫ জন আহত শ্রমিকসহ মোট ২৬ জন শ্রমিককে জরুরি চিকিৎসা সহায়তা বাবদ ১২ লাখ ১৫ হাজার টাকা এবং ৭ জন নিহত শ্রমিকের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা বাবদ ১৪ লাখ টাকা দেয়া হয়েছে।’
এ তহবিল নিয়ে শ্রমিকদের কল্যাণে শ্রম মন্ত্রণালয় সবসময় শ্রমিকদের পাশে আছে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
গ্রামীণফোনসহ দেশি, বিদেশি এবং বহুজাতিক মিলে ১৭৬টি প্রতিষ্ঠান তাদের লাভের এক দশমাংশ নিয়মিত এ তহবিলে জমা দিয়ে আসছে। বর্তমানে এ তহবিলে জমার পরিমাণ ৫০০ কোটি টাকার ওপরে।
Advertisement
চেক প্রদান অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব কে এম আব্দুস সালাম, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক বেগম জেবুন্নেছা করিম, শ্রম অধিদফতরের মহাপরিচালক গৌতম কুমার ভৌমিক উপস্থিত ছিলেন।
আরএমএম/ইএ/জিকেএস