প্রথম ৪ ম্যাচে (৫, ৫, ৩ ও ১৬) রান পাননি। পঞ্চম ম্যাচে এসে হাসলো তার ব্যাট। আজ বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠে রান পেলেন প্রাইম ব্যাংক অধিনায়ক এনামুল হক বিজয়। তার ব্যাটিংয়ের সামনে পাত্তাই পেলো না শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব।
Advertisement
বড় দলের তকমা আঁটা শেখ জামালের বিপক্ষে মঙ্গলবার বিকেলে এনামুল হক বিজয়ের ব্যাট থেকে বেরিয়ে এসেছে ৩৫ রানের এক কার্যকর ইনিংস। খুব যে আহামরি খেলেছেন, অনেক বেশি আক্রমণাত্মক ছিলেন, টি-টোয়েন্টি ইনিংস যেমন বাহারি শটসে ভরা থাকে- তেমন নয়। ৩৩ বলে সাজানো ইনিংসে তিনটি ছক্কার মার ছিল কেবল।
কিন্তু সবচেয়ে বড় কথা, দুই ওপেনার রনি তালুকদার আর তামিম ইকবাল দলকে অনেকদুর এগিয়ে দেয়ার পর মোহাম্মদ মিঠুনকে নিয়ে সতর্কতার সাথে তৃতীয় উইকেটে জয়ের খুব কাছে চলে গিয়েছিলেন বিজয়; কিন্তু মধ্য তিরিশে ওয়েল সেট অবস্থায় জয় থেকে মাত্র ৩ রান দুরে থাকতে লেগস্পিনার তানভির হায়দারের বলে আউট হয়ে ফিরে আসেন প্রাইম ব্যাংক অধিনায়ক।
অর্থাৎ আগের দিন মোহামেডানকে হারিয়ে আকাশে ওড়া শেখ জামালের বিপক্ষে দল জিতিয়ে বিজয়ীর বেশে সাজঘরে ফেরা হয়নি তার। তবে তার দল প্রাইম ব্যাংক ম্যাচ জিতেছে ৭ উইকেট এবং খেলা শেষ হয়েছে ৩ বল আগে। বিজয়ের সঙ্গী মিঠুন ১৯ বলে ২১ রানের হা না মানা ইনিংস খেলে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিয়েছেন।
Advertisement
এর আগে রনি তালুকদার আর তামিম ইকবাল প্রথম উইকেটে ৯.২ ওভারে ৬৯ রানের বড় জুটি গড়ে প্রাইম ব্যাংককে অনেকদুর এগিয়ে দেন। রনি তালুকদার ৩৪ বলে দুই ছক্কা ও চার বাউন্ডারিতে ৪৮ রানের আক্রমণাত্মক ইনিংস খেলে হন ম্যাচ সেরা। নিজেকে হারিয়ে খোঁজা তামিম সে তুলনায় ছিলেন অনেক স্লথ । ২৩ রান করতে খেলেছেন ২৭ বল।
প্রথম সেশনে তিন পেসার রুবেল হোসেন (৪ ওভারে ২/২৮), মোস্তাফিজুর রহমান (৪ ওভারে ২/৩১) আর শরিফুল ইসলামের (৪ ওভারে ১/১৯) সাথে তিন স্পিনার অফস্পিনার নাহিদুল (৩ ওভারে ১/২২), লেগি অলক কাপালি (২ ওভারে ১/১০) ও অফস্পিনার নাইম হাসানের (৩ ওভারে ১/২০) সাঁড়াসি বোলিং আক্রমণে ২০ ওভারে ১৩৩ রানেই থেমে যায় শেখ জামাল।
আগেরদিন শেরে বাংলায় মোহামেডানের বিপক্ষে ছক্কার নহর বইয়ে দেয়া নুরুল হাসান সোহান আর জিয়াউর রহমান এদিন কিছুই করতে পারেননি। দু’জনই ব্যর্থতার ঘানি টেনেছেন। সোহান ০ আর জিয়া ১ রানে আউট হয়েছেন। ২৪ ঘন্টা আগে মোহামেডানের বিপক্ষে ৫ ছক্কায় ৩৪ বলে ৬৬ রানের হ্যারিক্যান ইনিংস খেলা শেখ জামাল অধিনায়ক সোহানকে খালি হাতি ফেরান প্রাইম ব্যাংক পেসার রুবেল হোসেন।
আর জিয়ার উইকেটি জমা পড়ে আরেক দ্রুতগতির বোলার শরিফুলের পকেটে। দুই ওপেনার সৈকত আলী (৩০ বলে ২৮) আর মোহাম্মদ আশরাফুলও (১২ বলে তিন বাউন্ডারিতে ১৬) সুবিধা করতে পারেননি। নাসিরও আউট হয়েছেন মাত্র ১১ রানে। সর্বোচ্চ ৩৪ রানের ইনিংস খেলেন বাঁ-হাতি অলরাউন্ডার সোহরাওয়ার্দী শুভ। তিনিও রান আউট হয়ে গেলে ১৩০’র ঘরেই আটকে থাকে শেখ জামাল। শেষ পর্যন্ত প্রমাণ হয় ওই স্কোর যথেষ্ঠ ছিল না।
Advertisement
এআরবি/আইএইচএস/এমএস