সীমান্ত জেলা সাতক্ষীরায় লকডাউনের চতুর্থ দিনেও করোনা সংক্রমণের হার আরও ঊর্ধ্বগতি হয়েছে। সর্বশেষ ফলাফলে ১৮৭ জনের শরীরে নমুনা পরীক্ষায় ১০৩ জনের করোনা পজিটিভ হয়েছে। পরীক্ষা বিবেচনায় ৫৫ দশমিক ০৮ শতাংশ। যা জেলায় একদিনে সর্বোচ্চ হার।
Advertisement
এদিকে, সোমবার (৭ জুন) রাতে ও মঙ্গলবার (৮ জুন) সকালে করোনার উপসর্গ নিয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন এক নারী ও আপন দুই সহোদরসহ আরও পাঁচজন।
মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন হুসাইন সাফায়াত জাগো নিউজকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘সীমান্ত এলাকায় দ্রুত করোনা রোগী শনাক্তের জন্য সোমবার থেকে সীমান্তবর্তী সব উপজেলায় র্যাপিড টেস্ট চালু করা হয়েছে। জেলায় এখনো কোনো ভারতীয় ধরনের করোনা রোগী পাওয়া যায়নি। আইইডিসিআর ল্যাবে পাঠানো নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পেলে এ বিষয়ে আরও নিশ্চিত হওয়া যাবে।’
Advertisement
এদিকে করোনা ঠেকাতে প্রশাসনকে কিছুটা কঠোর হতে দেখা গেছে। পুলিশ শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে আরও বেশি সংখ্যক চেকপোস্ট বসিয়ে সাধারণের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করছে। জেলায় বাড়ানো হয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান।
গত শনিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত তিনদিনে ৪১টি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে, মামলা দায়ের করা হয়েছে ২১৭ টি এবং এই সময়ে স্বাস্থ্যবিধি না মানা ও লকডাউনের বিধিনিষেধ না মানায় করায় ১ লাখ ২৩ হাজার ৫৪৩ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসন।
এখনও জেলায় সব ধরনের গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। কিছুকিছু মোটরচালিত যান চলতে দেখা গেছে কিছু এলাকায়। এছাড়া সীমিত সময়ের জন্য সকাল ৮টা থেকে ২টা পর্যন্ত চলছে ভোমরা স্থল বন্দরের আমদানি-রফতানি কার্যক্রম।
আহসানুর রহমান রাজীব/এসজে/এএসএম
Advertisement