সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমও এখন জীবনের বড় একটা অংশ হয়ে গেছে। তাই সেখানে যা-তা লিখে দেয়ার আর উপায় নেই। ওলি রবিনসন সেটা হারে হারেই টের পাচ্ছেন।
Advertisement
ইংল্যান্ডের হয়ে টেস্ট অভিষেকেই চোখ ধাঁধানো পারফর্ম করলেন। কিন্তু টেস্ট শেষ হতে না হতেই শুনলেন, অনির্দিষ্টকালের নিষেধাজ্ঞায় ক্যারিয়ার হুমকির মুখে তার। ক্ষমা চেয়েও পার পেলেন না।
প্রায় আট বছর আগে করা মুসলিম ও নারী বিদ্বেষী টুইটের কারণে রবিনসনকে অনির্দিষ্টকালের জন্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করেছে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)।
আট বছর আগের টুইট? হ্যাঁ, কত আগের সেটা ব্যাপার নয়। একজন ক্রিকেটার নতুন প্রজন্মের আইডল, তিনি কেন বর্ণবাদী হবেন? ইংল্যান্ড ক্রিকেট তাই ভীষণ কঠোর অবস্থান নিয়েছে এই ব্যাপারে।
Advertisement
এবার একই কারণে আরও একজন ক্রিকেটার পড়েছেন তদন্তের মুখে। ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ‘উইজডেন’ জানিয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেক আগে আপত্তিকর মন্তব্য করায় সেই ক্রিকেটারের বিরুদ্ধেও কঠোর হওয়ার কথা ভাবছে বোর্ড।
যদিও ওই ক্রিকেটারের পরিচয় প্রকাশ করতে রাজি হয়নি ইসিবি। কারণ হিসেবে তারা জানিয়েছে, ওই বিতর্কিত পোস্টটি যখন করেছিলেন, তখন তার বয়স ছিল ১৬ বছরেরও কম।
ইসিবির একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘আমাদের নজরে এসেছে যে ইংল্যান্ডের একজন ক্রিকেটার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আক্রমণাত্মক কিছু পোস্ট করেছিলেন। আমরা বিষয়টা দেখছি, সময় হলেই এ সম্পর্কে জানাব।’
প্রসঙ্গত, ২০১২-১৩ সালের দিকে সোশ্যাল মিডিয়া তথা টুইটারে একাধিক বিতর্কিত পোস্ট করেছিলেন নিষিদ্ধ হওয়া ওলি রবিনসন। তার ওইসব মন্তব্যের মধ্যে ছিল মুসলিমদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ, তাদেরকে সন্ত্রাসী হিসেবে চিত্রায়িত করা, নারীদের নিয়ে চরম অবমাননাকর কথা-বার্তা এবং এশিয়ান ঐতিহ্য নিয়ে নানা ধরনের কটাক্ষমূলক কথা-বার্তা।
Advertisement
রবিনসনের বয়স ছিল তখন ১৮-১৯। ওই সময় তিনি লেস্টারশায়ার, কেন্ট এবং ইয়র্কশায়ারের দ্বিতীয় ক্রিকেট দলের হয়ে খেলতেন। এতদিন পর সেই পোস্ট ভাইরাল হওয়ার পরই নিষিদ্ধ করা হলো ইংলিশ অলরাউন্ডারকে।
এমএমআর/এমকেএইচ